১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৩২

ব্যবসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষা

মো. শাহ নেওয়াজ মজুমদার  © টিডিসি ফটো

আমাদের উচ্চশিক্ষা ও কর্ম উপযোগী শিক্ষা নিয়ে ভাবনার সময় এখনই। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে উচ্চশিক্ষায় বানিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ বিবিএ। এ ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের যেমন- বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় থাকে বিবিএ।

হুজুগে নয় বাস্তবতার আলোকে বর্তমান শিল্প উন্নয়নের যুগে আমাদের দেশে যে হারে ব্যবসা বানিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরী হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার জন্য প্রচুর বাণিজ্য শিক্ষায় গ্রাজুয়েট প্রয়োজন। সেই বাস্তবতার আলোকেই শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের প্রথম পছন্দ ব্যবসায়িক শিক্ষা বা বিবিএ।

দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক যে কোন প্রতিষ্ঠানে বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রীধারীগন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং পরবর্তীতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কর্তা ব্যক্তিতে পরিনত হন ও কোম্পানীর নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ প্রাপ্ত হন।

আমাদের দেশে দু’ধরনের বিবিএ পরিচালিত হয় একটি একাডেমিক ও অন্যটি প্রফেশনাল। প্রায় সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বিবিএ অর্থাৎ বিবিএ অনার্স পড়ানো হয়। অন্যদিকে বিবিএ (অনার্স) প্রফেশনাল শুধুমাত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ’তে পড়ানো হয়। এই কোর্সটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সিলেবাস ও আন্তর্জাতিক চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজাইন করা হয়েছে।

সেজন্য উক্ত প্রফেশনাল কোর্সটি সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফারসহ পৃথিবীর যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বৎসরে এমবিএ সম্পন্ন করতে পারে। এই কোর্সটি ইংরেজী মাধ্যমে পড়ানো হয় বিধায় আমাদের দেশে মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান গুলোর চাকুরি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ এই প্রফেশনাল বিবিএ হোল্ডারগন।

এই কোর্সটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকার কারনে কোন সেশন জট নেই। প্রায় প্রতিটি গ্রুপের ছাত্রছাত্রীরা এই কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের শর্ত থাকা সাপেক্ষে ভর্তি হতে পারে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিবন্ধিত কলেজ গুলোতে ৪ বছরে ৮ সেমিষ্টারে এই কোর্স পরিচালিত হয়। উক্ত বিবিএ প্রফেশনাল কোর্সটিতে মেজর করা যায় ফাইনান্স, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট ও একাউন্টিং-এ।

এই কোর্সের গুরুত্ব অনুধাবন পূর্বক ড্যাফোডিল পরিবারের সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় ড. মো. সবুর খান চট্টগ্রাম এর প্রাণকেন্দ্র ৯৪, শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদে সুবিশাল ১১তলা বিশিষ্ট ভবনে ড্যাফোডিল ইনষ্টিটিউট অব আইটি এর ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করেন।

আধুনিক শিক্ষার প্রায় সকল সুযোগ সুবিধা সংবলিত এই ক্যাম্পাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৪ বছর মেয়াদী বিবিএ প্রফেশনাল কোর্সটি ২০১৫ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। উক্ত কোর্সটি একদল তরুন মেধাবী প্রশিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হয়। এখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগনও খন্ডকালীন প্রশিক্ষক হিসাবে শিক্ষাদান করে থাকেন। তাই ডিআইআইটির ছাত্রছাত্রীরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় উত্তীর্ন ও ভালো ফলাফল করে থাকেন।

ডিআইআইটির চেয়ারম্যান একজন শিক্ষানুরাগী হওয়ায় তিনি জাতীয় প্রয়োজনের নিরীখে ব্যবসায় শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অত্যন্ত কম খরচে বিবিএ প্রফেশনাল কোর্সটি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছেন। এ ছাড়াও তিনি মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ বৃত্তির ব্যবস্থাও রেখেছেন।

এইচএসসিতে উত্তীর্ন ছাত্রছাত্রীরা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে ভর্তির সুযোগ পায়নি এবং বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সক্ষমতা নেই, তাদের জন্য স্বল্প খরচে এই বিবিএ প্রফেশনাল কোর্সটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং কাঙ্খিত একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। আমাদের অধিকাংশ অভিভাবকগনের এই কোর্স সম্পর্কে সম্যক ধারনা না থাকায় তারা উচ্চ ব্যয় সাপেক্ষে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ঝুঁকে যায়।

এ প্রসঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মানের বিবিএ প্রফেশনাল কোর্সে হাতে কলমে যা শেখানো হয় তা পেশাগত জীবনে শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস ও আস্থা। ডিআইআইটি আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই ক্যাম্পাস থেকে পাশ করে শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত গর্ব বোধ করেন এই ক্যাম্পাসে পড়াশুনা করতে পেরে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ড্যাফোডিল শিক্ষা পরিবার দেশে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও ব্যবসা শিক্ষায় বিশেষ অবদান রেখে চলছে। এ জন্যই নিয়োগদাতারা ড্যাফোডিল থেকে পাশকৃত গ্রাজুয়েটদের মূল্যায়ন করে থাকে। ডিআইআইটির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যাংক ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ইন্টার্নি শেষে দেশে ও বিদেশের প্রখ্যাত কোম্পানীতে চাকুরি করার সুযোগ পাচ্ছেন।

ড্যাফোডিল পরিবারের প্রায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠানেও আমাদের গ্রাজুয়েটদেরকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা যেহেতু বাংলাদেশে আইটি শিক্ষার পথিকৃত তাই আমাদের সকল শিক্ষার্থীকে আমরা আইটিতে অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ ভাবে গড়ে তুলি তাই আমাদের এখান থেকে পাশকৃত বিবিএ প্রফেশনাল গ্রাজুয়েটদের চাকুরির বাজারে প্রচুর চাহিদার তৈরি হয়েছে।

আমাদের পাশকৃত গ্রাজুয়েটদের শতভাগ কর্ম নিশ্চিত কল্পে আমাদের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান যেমন, HRDI, Skill Jobs দেশ বিদেশে শিক্ষার্থীদের চাকুরির ব্যবস্থা ও বিভিন্ন স্কীল ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থা করে থাকে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দক্ষতা সম্পন্ন ট্রেইনার এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করিয়ে থাকি। বর্তমানে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ডিআইআইটি চট্টগ্রামে যোগাযোগ- ০১৭১৩-৪৯৩২০৫, ঠিকানা: ৯৪,শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন: www.diitctg.edu.bd।

আমাদের প্রতিষ্ঠানে ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার বৃত্তির এবং ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে হোষ্টেল ফ্যাসিলিটি সহ ভর্তির জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। ছেলে মেয়ে আপনার কিন্তু সুশিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের প্রতিষ্ঠান সব সময় অভিবাবকদের মতামতকে যথাযথ মূল্যায়ন ও কার্যকর করে থাকে বিধায় অভিভাবকগন আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতি শতভাগ সন্তুষ্ট থাকেন।

লেখক: হেড অফ অপারেশন, ড্যাফোডিল ইনষ্টিটিউট অব আইটি, চট্টগ্রাম