১৫ জুন ২০১৯, ১৭:০৯

মাস্টার্স শেষ: নরমাল চাকরিতে ঢুকবেন নাকি প্রিপারেশন?

‘কেউ যদি বলে সম্ভব না, পারবেন না, তার অর্থ সে তার জীবনে পারেনি। তার মানে এই নয় যে আপনিও পারবেন না।’ প্রিমিয়ার ব্যাংকের এই টিভিসিটি টিভিতে আমরা সবাই দেখেছি। কিন্তু এই একটি বাধা একজন মানুষকে কতটা ভেঙে দিতে পারে, তা কেবল ভুক্তভোগীই জানে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম ঢাকার একটি নামকরা বিসিএস কোচিং এ। কোচিং এর পরিচালকের কোচিং করিয়ে হাজার হাজার ক্যাডার বের করার ইতিহাস আছে, যেহেতু উনি এই লাইনে অভিজ্ঞ, উনার কথাগুলোকে মন্ত্রসাধকের মতো আমি বিশ্বাস করতে লাগলাম। একদিন ক্লাসে উনি বলে দিলেন, যাদের রক্তের গ্রুপ নিগেটিভ তারা ক্যাডার হতে পারবে না। কথাগুলো শুনে আমি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলাম। এরকম ভবিষ্যৎ বাণীতে কয়েকদিন আমি পড়ায় মন দিতে পারলাম না, কারণ আমার রক্তের গ্রুপ নিগেটিভ। পরে কিভাবে ধকলগুলো কাটিয়ে উঠেছি, কিভাবে নিজের আত্মবিশ্বাসে এত ঝুঁকি নিয়েছি, সে কেবল আমিই জানি। আল্লাহর রহমতে আমি প্রথম বিসিএস এই ক্যাডার পেয়েছি। তাই আপনার কতটুকু সম্ভাবনা আছে; আপনি কি পারেন, কি পারেন না- সেটা অন্যকে বলার সুযোগ দিবেন না। বললেও কানে দিবেন না। একজন মানুষ আপনাকে একপলক দেখেই আপনার ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন না। আমাকে অনেক চাকুরিপ্রার্থী প্রায়শ জিজ্ঞেস করে, “ভাইয়া, পড়াশোনা কমপ্লিট। আমি কি নরমাল জবে ঢুকে যাব? নাকি ভালো জব এর জন্য প্রিপারেশন নিবো?”

উত্তরে আমি বলি, “আমার চেয়ে আপনিই নিজেকে বেশি জানেন। আপনার সক্ষমতা, অক্ষমতা, সীমাবদ্ধটা সব জানেন আপনি। আপনার যদি কনফিডেন্স থাকে নিজের প্রতি, অবশ্যই ভালো কিছুর জন্য বর্তমান প্রাপ্তিকে স্কিপ করবেন। অন্যথায় নগদ প্রাপ্তিকেই আকড়ে ধরেন।”