‘একদিনের কসাই’ হতে গিয়ে কাটাছেঁড়া থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে
প্রতি বছর কোরবানির ঈদের সময় মাংস কাটতে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। গতবছর শতাধিক মানুষ মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন। শুধুমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের শতাধিক ব্যক্তিকে হাত-পায়ের কাটার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই মৌসুমি কসাই ছিলেন, যারা বাড়তি চাহিদার কারণে ঈদের দিন কাজ করেছিলেন। আহতদের হাত-পা কেটে যাওয়া, আঙুল কেটে যাওয়া, গরুর শিংয়ের আঘাত এবং লাথির আঘাতসহ বিভিন্ন ধরনের আঘাত ছিল।
ঈদের আনন্দে মাংস কাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অনেকেই এই কাজের সময় ছুরি দিয়ে আহত হয়ে পড়েন। ছোটখাটো কাটা থেকে শুরু করে গুরুতর আঘাত পর্যন্ত, এই আহতগুলো ঈদের আনন্দকে ব্যাহত করতে পারে।
আঘাতের কারণ:
* মনোযোগ না দিয়ে, দ্রুত কাজ করার চেষ্টা, ক্লান্ত অবস্থায় কাজ করা।
* অপর্যাপ্ত জ্ঞান: ছুরি ধরার, মাংস কাটার সঠিক কৌশল না জানা।
* খারাপ মানের ছুরি: ভোঁতা ছুরি ব্যবহার করলে বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হয়, ফলে আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
* অসুরক্ষিত পরিবেশ: পর্যাপ্ত আলো না থাকা, কাজের জন্য যথেষ্ট জায়গা না থাকা।
* অনিরাপদ পোশাক: পিচ্ছিল পোশাক পরা, হাতে গ্লাভস না ব্যবহার করা।
আঘাত থেকে রক্ষা
* সাবধানতা অবলম্বন
* কাজের সময় সর্বদা মনোযোগ দিন।
* দ্রুত কাজ করার চেষ্টা না করে ধৈর্য ধরুন।
* ক্লান্ত অবস্থায় কাজ করবেন না।
কৌশল:
* ছুরি ধরার এবং মাংস কাটার সঠিক কৌশল শিখুন।
* নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন থাকুন।
উপযুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার:
* একটি ভালো মানের শার্প ছুরি ব্যবহার করুন।
* মাংস কাটার বোর্ড এবং চেইনমেল গ্লাভস ব্যবহার করুন।
নিরাপদ পরিবেশ তৈরি:
* পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করুন।
* কাজের জন্য যথেষ্ট জায়গা রাখুন।
মাংস কাটা একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হতে পারে। তবে সাবধানতা অবলম্বন, জ্ঞান অর্জন, উপযুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার, নিরাপদ পরিবেশ তৈরি এবং পোশাকের মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব। মনে রাখবেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য নিজেকে আহত করবেন না।