ফজর থেকে তাকবীরে তাশরিক শুরু, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পড়া ওয়াজিব

তাকবীরে তাশরিক
তাকবীরে তাশরিক  © সংগৃহীত

আজ ৯ জিলহজ (রবিবার) ফজর থেকে শুরু করে আগামী ১৩ জিলহজ (মঙ্গলবার) আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত তাকবীরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। এই সময়ে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর অন্তত একবার ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ 

জামাতে হোক বা একা, সর্বাবস্থায় এটা বলতে হবে। পুরুষ হোক বা নারী সকলকেই বলতে হবে। এই তাকবীর পড়া ওয়াজিব। এটিকে তাকবীরে তাশরিক বলা হয়।

প্রত্যেক ওয়াক্তে তাকবীরে তাশরিক একবার পড়া ওয়াজিব। আর তিনবার পড়া মোস্তাহাব। এই ৫ দিনে মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজে তাকবীরে তাশরিক পড়তে হয়। এ হুকুম প্রত্যেক আরবি বছরের উল্লেখিত ৫ দিনের জন্যই প্রযোজ্য।

তাকবীরে তাশরিক যেভাবে পড়বেন
তাশরিকের দিনগুলোতে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পুরুষদের ওপর উচ্চৈঃস্বরে একবার তাকবীরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। আর নারীরা নিচু স্বরে পড়বে, যাতে নিজে শোনে। (ফাতাওয়া শামি : ২/১৭৮)

ফরজ নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়া হোক বা একাকী, ওয়াক্তের মধ্যে পড়া হোক বা কাজা, নামাজি ব্যক্তি মুকিম হোক বা মুসাফির, শহরের বাসিন্দা হোক বা গ্রামের— সবার ওপর ফরজ নামাজের পর একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। (দুররে মুখতার : ২/১৮০)

ফরজ নামাজের পর তাকবির বলতে ভুলে গেলে, স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকবির পড়ে নেবে। তবে হ্যাঁ, নামাজের বিপরীত কোনো কাজে লিপ্ত হয়ে গেলে, যেমন— কথা বলা, নামাজের স্থান থেকে উঠে পড়া ইত্যাদি হলে তাকবির বলতে হবে না, বরং ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার কারণে আল্লাহর কাছে তওবা করবে। (শামি : ৬/১৭৯)

তাকবীরে তাশরিকের আমল যেভাবে চালু হয়েছে
প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ ও বুখারি শরিফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, যখন হজরত ইবরাহিম (আ.) স্বীয় পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে জবাইয়ের উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি রাখলেন, এদিকে আল্লাহর নির্দেশে হজরত জিবরাঈল (আ.) আসমান থেকে একটি দুম্বা নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করছিলেন।কিন্তু জিবরাঈল (আ.)-এর আশঙ্কা ছিল, তিনি দুনিয়াতে পৌঁছার আগেই ইবরাহিম (আ.) জবাই পর্ব সমাপ্ত করে বসবেন। ফলে তিনি আসমান থেকে উঁচু আওয়াজে বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার।’

একজন ফেরেশতা আর দুজন প্রিয় নবীর এ বাক্যমালা আল্লাহর খুব পছন্দ হয়। তাই কিয়ামত পর্যন্ত এই বাক্যমালা আইয়ামে তাশরিকে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পড়াকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/১৭৮, ইনায়া শরহুল হিদায়া : ১/৪৬৪)


সর্বশেষ সংবাদ