ভালো জানা প্রশ্নের উত্তর আগে করতে হবে, গুরুত্ব দিতে হবে নির্ভুলতায়

নাহনুল কবীর নোয়েল
নাহনুল কবীর নোয়েল  © টিডিসি ফটো

উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছেন দেশসেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য। এসময় অনেকেই আবার দ্বিধাদ্বন্দ্বেও ভোগেন; এজন্য তারা থাকেন হতাশায়। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও হতাশা কাটিয়ে একজন শিক্ষার্থীর এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টাতে কি কি করা উচিত, সে সম্পর্কে ২০২১-২২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিট প্রথম হওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাহনুল কবীর নোয়েল নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পরে নয় বরং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে থেকেই এর জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রস্তুতি শুরু করার জন্য বলব সেটা হচ্ছে বাংলা এবং ইংরেজি পাঠ্য বই  এর উপর বেশি জোর দেয়া। একই সাথে বেসিক গ্রামার অংশ বেশি বেশি অনুশীলন করা। 

এসময় কিভাবে গোছানো প্রস্তুতি নেওয়া যায় প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতিদিন একটা রুটিন ঠিক করে চললে এমনি গোছানো থাকবে সব। এমন অনেক সময় হতেই পারে যে, আমরা রুটিন মানতে পারছি না। এতে কোন সমস্যা নেই, এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার দরকারও নেই । 

পরীক্ষার হলে করণীয় সম্পর্কে বলেন, পরীক্ষার হলে সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে প্রয়োজনীয় তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করা। কারণ খাতাটাই যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ অর্থহীন। দ্বিতীয় যে জিনিসটি পরীক্ষার হলে করতে হবে তা হচ্ছে যেটা  কেউ সবচেয়ে ভালো  পারে সেটা আগে  উত্তর করা। আর অবশ্যই ভয় পাওয়া যাবে না আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে। 

লিখিত অংশ নিয়ে নোয়েল বলেন, আমাদের দেশে ইংরেজি নিয়ে একটি ভীতি আছে সেজন্য ইংরেজি লিখিত অংশে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক দুর্বল থাকে সাধারণত। সেজন্য আমি বলব উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে থেকেই ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং এ দক্ষতা গড়ে তোলা। সেজন্য ভোকাবুলারি দক্ষতা বাড়াতে হবে। 

এছাড়াও তিনি পরামর্শ হিসেবে বলেন, উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষ থেকেই যেন ছাত্রছাত্রীরা একটা ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করে ভর্তির জন্য। এতে পরবর্তীতে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। আর সৃষ্টিকর্তাকে অবশ্যই সব সময় স্মরণে রাখতে হবে।

অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কে নোয়েল জানায়, বাবা-মায়ের দায়িত্ব হবে যে তাদের সন্তান সময় নষ্ট না করে সঠিকভাবে পড়াশোনা বা অন্যান্য দরকারি কাজ করছে কিনা। আর মানসিকভাবে যাতে ভেঙে না পড়ে সেজন্য সহায়তা করা।

সবশেষে তিনি বলেন, আমাদের সবারই কোনো না কোনো পরিকল্পনা থাকে কারো লক্ষ্য একেবারে স্থির করা থাকে, কারো থাকেনা। সুতরাং, আপনার যদি পরিকল্পনা থাকে তবে এটি ভালো তবে আপনার যদি না থাকে তবে এটিও ভাল কারণ আপনি আগে থেকে কিছু পরিকল্পনা করতে পারেন তবে ভাগ্য সবসময় এটি অনুসরণ করে না।


সর্বশেষ সংবাদ