১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৭

সহজে শিক্ষক নিবন্ধন পাস করবেন যেভাবে

রাসেল ইব্রাহীম  © টিডিসি ফটো

স্কুল-মাদ্রাসা পর্যায়ে পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন মিলে হয় ভৌতবিজ্ঞান। উক্ত দুই বিষয়ের যেকোনো এক বিষয়ে অনার্স কিংবা ডিগ্রি করে মাস্টার্স করলেই ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়া যাবে। অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও একই সিস্টেম, বিষয়ভিত্তিক অনার্স কিংবা ডিগ্রি-মাস্টার্স করতে হবে। আর শিক্ষক হতে হলে তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। 

প্রিলিমিনারি: এই পর্যায়ে বাংলা, গণিত, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান মিলে ১০০ টি এমসিকিউ থাকে। সব বিষয়ের জন্য অভিন্ন প্রশ্ন। ৪০ টি সঠিক ভরাট করতে পারলেই উত্তীর্ণ হওয়া যাবে, যেকোনো ৪০ টি। আর কাট মার্কস ৫০ হওয়া নিয়ে আলোচনা চলে, কার্যকর হলে ৫০ টি সঠিক হতে হবে। একটি ভুল হলে প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.২৫ কাটা যাবে, তাই বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য ভুল উত্তর না দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে বিগত নিবন্ধন, বিসিএস এবং প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এমসিকিউ ব্যাখ্যাসহ ভালোভাবে পড়লেই পাস করা যাবে, পাশাপাশি প্রাথমিক জ্ঞান থাকলে উত্তর করা সহজ হবে। পড়াশোনা সিলেবাস অনুসারেই করতে হবে। 

লিখিত: লিখিত পরীক্ষা ১০০ নম্বরের। ১৭ তম নিবন্ধন পর্যন্ত ভৌতবিজ্ঞানে অনার্সে পঠিত বিষয়ের উপর লিখিত হতো,১৮ তম থেকে  রসায়ন ৫০ নম্বরের  এবং পদার্থবিজ্ঞান ৫০ নম্বরের।মোট ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও বিষয়ভিত্তিক( অনার্সে পঠিত বিষয়) লিখিত।প্রথমে এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ের পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন বই সংগ্রহ করতে হবে কিংবা আপনার পঠিত বিষয়। পরে বাজার থেকে একটা সাজেশন কিনতে হবে। দিকদর্শন কিংবা রেনেসাঁ প্রকাশনীর,কেবল নমুনা দেখার জন্য ।আমার কাছে রেনেসাঁ ভালো লেগেছে। প্রিলির পাশাপাশি লিখিত প্রস্তুতি নিলে ভালো হবে, তৈরি করতে হবে মনের মতো হ্যান্ডনোট। হ্যান্ডনোট না করে অগোছালো প্রস্তুতির কারণে লিখিত পরীক্ষায় ফেলের হার বেশি হয়। তারপর NTRCA এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সিলেবাস অনুসারে শর্টকাট প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। লেখা যত মানসম্মত হবে, পাসের সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে। 

ভাইভা: এক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর  ভালো করে আত্মস্থ করতে হবে এবং বিষয়ভিত্তিক প্রাথমিক জ্ঞান রাখলে পরীক্ষা ইজি হবে। 

লেখক:  ১৭ তম ভৌতবিজ্ঞান চূড়ান্ত পর্যায়ে উত্তীর্ণ।