২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৬

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে মানবিকের ভর্তিচ্ছুরা প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

আশরাফুল ইসলাম  © টিডিসি ফটো

আগামী রবিবার (২৬ নভেম্বর) চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এবার পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রতিটি শিক্ষার্থীদেরই উচ্চশিক্ষায় স্বপ্ন থাকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। চাহিদার দিক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। এটি ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষা দিতে পারে। ব্যবসায় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্যও অল্প সংখ্যক আসন রয়েছে। 

যেহেতু আসন সীমিত, তাই এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে একটি আসন নিশ্চিত করার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। মানবিকের একজন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করবে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সে পরামর্শ দিয়েছেন ২০২২-২৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক বিভাগ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়  হওয়া আশরাফুল ইসলাম-

মানবণ্টন সম্পর্কে জানতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের মানবিক বা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানবণ্টনের সাথে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের প্রশ্নের মান বণ্টনের মিল নেই। এজন্য প্রথমে মানবণ্টনের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝে পরিকল্পনা করতে হবে। আর যেহেতু নতুন মানবণ্টনে শুধু গত সেশনেই পরীক্ষা হয়েছে, তাই গত বছরের প্রশ্নপত্রটিই ভালো করে দেখতে হবে।  তবে বাংলা ও ইংরেজির জন্য গ ইউনিটের একটি প্রশ্ন ব্যাংক কিনলে বেশি সহায়ক হবে।

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ:

বাংলা: বাংলার জন্য সিলেবাস ভুক্ত প্রতিটি গদ্য-পদ্য লাইনভিত্তিক বুঝে বুঝে পড়তে হবে। বিশেষ করে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য বাংলা বিষয়ের পাঠ পরিচিতি ও শব্দার্থ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর ব্যাকরণের ক্ষেত্রে এইচএসসির সিলেবাসের টপিকগুলো আত্মস্থ করে বেশি বেশি প্র্যাকটিস করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া যেসব টপিক থেকে প্রশ্ন কম আসে তা যত সম্ভব কম পড়ায় ভালো। তাহলে সময়টা সর্বোচ্চ কাজে লাগানো যাবে।

ইংরেজি: ইংরেজিতে সাধারণত গ্রামার থেকেই বেশি প্রশ্ন আসে। এজন্য গ্রামারের টপিকগুলোই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তবে অবশ্যই টেক্সট বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের  শেষে যে vocabulary  বা word আছে তা পড়তে হবে।আর মুখস্থ বিষয়ের ক্ষেত্রে দৈনিক রুটিন করে নিয়মিত পড়লেই বেশি কাজে দিবে।

আইসিটি: আইসিটির জন্য বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত বইটিই মূলত পড়তে হবে। তবে এর পাশাপাশি অন্যান্য লেখকদের বই বোঝার জন্য পড়া যেতে পারে। এছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায় বেশি জোর দিতে হবে। কারণ এ অধ্যায়গুলো হতে প্রশ্ন সমাধান করাটাই বেশি কঠিন হয়।

গণিত/পরিসংখ্যান/অর্থনীতি: বহুনির্বাচনি অংশে বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি প্রত্যেকটির জন্য ১২ নাম্বার করে বরাদ্দ থাকলেও এখানে গণিত, পরিসংখ্যান ও অর্থনীতি থেকে যেকোনো একটির উত্তর করতে হবে। ২৪ নাম্বার বরাদ্দ থাকে এখানে। কাজেই, থিউরিটিক্যাল বিষয়গুলো ছাড়াও অঙ্ক বা হিসাবভিত্তিক প্রশ্নগুলো কম সময়ের সমাধান করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

লিখিত অংশের জন্য প্রস্তুতি
লিখিত অংশে প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১০ নম্বর করে বরাদ্দ থাকে। চারটি বিষয় থেকে মোট ৪০ নম্বর। এক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদের জন্য ভাববাচক অনুবাদ ও ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে গ্রামারের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। আইসিটি ও অর্থনীতির জ্ঞান মূলক লিখিত অংশের জন্য বেসিক নলেজ ক্লিয়ার রাখতে হবে এবং এই দুটি বিষয়ের সমাধানমূলক প্রশ্নের জন্য টপিকভিত্তিক চর্চার বিকল্প নেই। যাতে করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবগুলো প্রশ্নের সমাধান করা যায়। কারণ পরীক্ষার হলে ঠান্ডা মাথায় নির্ধারিত সময়ে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারাটাই দক্ষতার বিষয়।

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার