বিশ্ব ডিম দিবসে জেনে নিন এর পুষ্টিগুণ
আজ বিশ্ব ডিম দিবস। প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবারে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় এই দিবসটি। ‘স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের জন্যে ডিম’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক এগ কমিশনের কনফারেন্সে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলছে প্রতিবছরের এই উদযাপন। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং স্বাস্থ্যসম্মত ডিম উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম রাখতে উৎসাহ দান।
ডিমের পুষ্টিগুণ
ডিমের বহুমুখী গুণের জন্য এটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ডিমে যেসব পুষ্টিগুণ থাকে, তা সাধারণত অন্যান্য খাবারে খুব কমই থাকে। তাই সুষম ডায়েটের জন্য ডিম একটি অসাধারণ খাবার। এটি গর্ভবতী মা, শিশু, কিশোর এবং বয়স্কদের জন্যে অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
ডিমে ৯ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা শরীরে প্রোটিনের সমস্ত চাহিদা মেটাতে সক্ষম। ডিমের প্রোটিন পেশি তৈরি করতে, ক্ষুধা নিবারণ করতে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
সাধারণত আয়রন এবং ভিটামিন এ, বি৬, বি১২, ডির ঘাটতি দেখা যায় বিশ্বজুড়ে। ডিমের মধ্যে এসব পুষ্টিগুণ উপস্থিত থাকে। ডিমের এ পুষ্টিগুণ আমাদের প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। শারীরিক বৃদ্ধি ঘটায়। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে।
ডিম সেলেনিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। এতে রয়েছে দস্তা, লোহা এবং তামার মতো নানা প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। এগুলো বিশেষত কোলিনের উত্স হিসেবে পরিচিত, যা মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে ও স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে।
যেভাবে এল ডিম দিবস
ডিম খাওয়ার ইতিহাস মানুষের ইতিহাসের মতোই পুরোনো। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ডিমের জন্যে মুরগি পালত। ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, পৃথিবীর নানা সংস্কৃতিতে ডিম অলংকরণ এবং ধর্মীয় দিক থেকে মূল্যায়ন পেয়েছে। যেমন ইস্টার সানডে খ্রিষ্টধর্মীয় মানুষের অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে জীবন এবং পুনর্জন্মের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এই দিনে ডিম আকৃতির নানান সাজসজ্জায় ঘর অলংকৃত করেন তাঁরা। শিশুরা পায় ডিম্বাকৃতির নানা উপহার। তবে বিশ্ব ডিম দিবস প্রথম পালিত হয় ভিয়েনায়, ১৯৯৬ সালে। ‘ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন’ (আইসিই) পৃথিবীজুড়ে ডিমের গুরুত্ব ও উপকারিতা ছড়িয়ে দিতে এ দিনের সূচনা করেন। প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার দিনটি পালন করার সিদ্ধান্ত হয়। তার পর থেকে বিশ্বজুড়ে ডিমপ্রেমীরা দিনটি পালনের জন্য নানা ধরনের আয়োজন করে থাকেন।