সেদ্ধ ডিম ডিপ ফ্রিজে কতদিন সংরক্ষণ করা যাবে?
ডিম হচ্ছে প্রোটিনের সেরা উৎস। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সের জন্য ডিম স্বাস্থ্যকর। ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাদ্য। একে প্রোটিন এবং পুষ্টিরপাওয়ার হাউসও বলা হয়ে থাকে। সিদ্ধ ডিম শরীরে প্রচুর শক্তি জোগায়। তাই অনেকে সিদ্ধ ডিম খেয়ে থাকেন। তবে ডিম সিদ্ধ কতক্ষণ পর্যন্ত খাওয়া যায় তা হয়তো অনেকে জানেন না। সকালের নাস্তায় অনেকেই সিদ্ধ ডিম অত্যাবশক মনে করেন। আবার অনেকে বাচ্চার টিফিনে সিদ্ধ ডিম দিয়ে থাকেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, 'যদি সুস্থ থাকতে চান, প্রতিদিন একটি করে ডিম খান'। পুষ্টিবিদদের মতে, একটি বড় ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে । একটি সেদ্ধ ডিম থেকে সাধারণত ৭৭ ক্যালরি পাওয়া যায়। ৬.৩ গ্রাম উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায়। ডিম দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায় এবং খিদে কমায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েটে ডিম রাখা জরুরি।
তবে আপনি জানেন কী? ডিম সিদ্ধ হওয়ার কতক্ষণ পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে। অনেকেই সিদ্ধ ডিম অনেকক্ষণ পর খান। ডিম সিদ্ধ করার পর সংরক্ষণ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ফ্রিজে রাখা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেদ্ধ ডিম ডিপ ফ্রিজে সাত দিনের বেশি সংরক্ষণ করা উচিত নয়। এতে ডিমের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর ফ্রিজে ডিম রাখলে তা শক্ত হয়ে যায়, ফলে অদ্ভুত স্বাদ পেতে পারেন।
আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর তথ্যমতে, সেদ্ধ করার পর সাধারণত দুই ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত। তবে সেদ্ধ করা ডিম ডিপ ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যাবে। কিন্তু খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখা যাবে না।
সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে এয়ার টাইট (বায়ুরোধী) পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখলে দুর্গন্ধ হতে পারে। কারণ, সেদ্ধ করা ডিম ফ্রিজে রাখলে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। তবে এটি ক্ষতিকর নয়। ফ্রিজে সেদ্ধ ডিম রাখলে শক্ত হয়ে যেতে পারে। স্বাদেও কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: ডিম সেদ্ধ না পোচ, কোনটিতে বেশী উপকার
সাধারণত ডিম ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। আর ডিম সেদ্ধ করার পর তা সাধারণ তাপমাত্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে।
ডিম কমবেশি সবারই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হলো ডিম। কেউ সেদ্ধ খান, কারও পোচ পছন্দ, কেউ বা ডিমের অমলেট পছন্দ করেন।যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারা মনে করেন ডিম ভাজার বদলে সিদ্ধই সেরা। পুষ্টিবিদরা অবশ্য সকালের নাশতায় একটা করে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার কথা বলেন। চিকিৎসকেদের মতে, অমলেট বা পোচের তুলনায় সিদ্ধ ডিমই বেশি উপকারী।
পুষ্টিবিদদের মতে, একটা সিদ্ধ ডিমে ৭৮ ক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ০.৬ গ্রাম কার্বহাইড্রেট ও ৫.৩ গ্রাম ফ্যাট, যার মধ্যে ১.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। সিদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন মজুত থাকে। সকালের নাশতায় একটা সিদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। অন্যদিকে, অমলেটে রয়েছে ৯০ ক্যালরি, ৬.৮ গ্রাম ফ্যাট। এর পাশাপাশি রয়েছে ২ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট।