০২ জুলাই ২০২৩, ২০:৪৫

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই নিয়ে পড়াশোনা

  © প্রতীকী ছবি

বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ— এ কথাটা সম্ভবত ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে হয়ে উঠছে। দিগবিজয়ী ‘পাগলা ঘোড়ার’ মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে সবকিছুতে জড়িয়ে যাচ্ছে তাতে শুধু তথ্যপ্রযুক্তির যুগ বলার সুযোগ আর থাকছে কই। আর গত এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বিষয় ও ক্যারিয়ার পছন্দের মনস্তত্ত্বে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যনীয়। নব্বইয়ের দশকে চালু হওয়ার পর থেকে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দৃশ্যপটে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন দেখা গেছে। চ্যালেঞ্জিং ভবিষ্যত, চাকুরির বাজারের চাহিদা এবং তরুণদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মৌল চাহিদা পূরণে সক্ষম করে তোলতে বেশ আকর্ষণীয় প্রোগ্রাম অফার করার চেষ্টা করছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার বিষয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে এবার থাকছে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াশোনার বিস্তারিত। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বা সিএসইতে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, ভর্তি যোগ্যতা, পঠন পরিসর, খরচ, উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিয়ে চলুন জেনে নিই—

ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদা, বহুমুখী ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষা, স্বতন্ত্রভাবে কাজের সুযোগ আর স্টার্ট-আপে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের কারণে তরুণদের কাছে পড়ার ট্রেন্ডি বিষয় এখন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।

কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন
ভর্তি হওয়ার আগে জেনে নিন আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই ডিগ্রি আইইবি বা ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ বা (IEB) কর্তৃক স্বীকৃত কি না। একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গণিত জানা বা বুঝা অপরিহার্য। তাই কমপক্ষে ৪টি সেমিস্টারে গণিত সম্পর্কিত কোর্স আছে কি না, জেনে নিন। আপনাকে কমপক্ষে ২-৩টি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখানোর কথা। নিশ্চিত হয়ে নিন শেখায় কিনা।

এই ফিল্ডে আপনার সৃজনশীলতার বিকাশে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিত হয়ে নিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে কিনা। পুরো ব্যাচেলর ডিগ্রিতে সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১৫০ ক্রেডিট থাকা উচিত, সেটা সিলেবাস দেখেই নিশ্চিত হয়ে নিবেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রোগামিং প্রতিযোগিতা, প্রজেক্ট ডিসপ্লের মতো ক্রিয়েটিভ অনুষ্ঠানে অংশ নেয় কিনা? সেখানে তাদের সাফল্য কেমন? 

কাজের সুযোগ
বাংলাদেশের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সাথে কাজ করছেন। তাছাড়াও অপারেটিং সিস্টেম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মোবাইল কম্পিউটিং, নিউরাল কম্পিউটার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। আপনার জ্ঞান-দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন কাজের পরিধি বাড়তে থাকবে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, আইটি অফিসার, ওয়েব ডেভেলপার, প্রোগ্রামার ও নেটওয়ার্কিংসহ নানান বিষয় নিয়ে কাজের পরিসর। এছাড়াও আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করেও উপার্জন করতে পারেন। দেশে আউটসোর্সিংয়ের বাজার দিনদিন বড় হচ্ছে।

যোগ্যতা 
বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এসব যোগ্যতা কিছুটা কমবেশি হতে পারে। তবে আপনার মধ্যে গণিতে মোটামুটি দক্ষতা, পরিশ্রমী মানসিকতা, প্রোগ্রামিং করার প্যাশন, উদ্ভাবনী চিন্তা, ধৈর্য ধারণ ক্ষমতা আছে কিনা বুঝে পড়তে আসার পরামর্শ দেন এ সেক্টরে অভিজ্ঞজনরা।

যেখানে পড়তে পারেন
বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সিএসই পড়ার জন্য ভালো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেয়া হলো। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোরমধ্যে শিক্ষার মান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, দক্ষতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরের দিকে অবস্থান নেয়।

ব্রাক ইউনিভার্সিটি; নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি; ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি; আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড এগ্রিকালচার; বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি।