০১ জুলাই ২০২৩, ১২:২৪

আইন নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে

  © প্রতীকী ছবি

এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বিষয় ও ক্যারিয়ার পছন্দের মনস্তত্ত্বে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। নব্বইয়ের দশকে চালু হওয়ার পর থেকে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দৃশ্যপটে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন দেখা গেছে। চ্যালেঞ্জিং ভবিষ্যত, চাকুরির বাজারের চাহিদা এবং তরুণদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মৌল চাহিদা পূরণে সক্ষম করে তোলতে বেশ আকর্ষণীয় প্রোগ্রাম অফার করার চেষ্টা করছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়ার বিষয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে এবার থাকছে আইনে পড়াশোনার বিস্তারিত। আইনে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, ভর্তি যোগ্যতা, পঠন পরিসরল, খরচ, উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিয়ে চলুন জেনে নিই-

পেশাগত জীবনে সম্মানজনক, সৃজনশীল ও স্বাধীন কর্মক্ষেত্রের কথা বিবেচনায় নিলে তালিকায় উপরের দিকে থাকে আইন। দেশে প্রথমবারের মতো বিভাগ হিসেবে আইন পড়ানো শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তা ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরপরই। বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোতে আইনের উপর বিশেষায়িত প্রোগ্রামের পড়াশোনা সুযোগ দিচ্ছে। 

আইনের শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্র:
আইনে পড়াশোনা করে কর্মক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিসরে কাজের সুযোগ থাকে। সুযোগ থাকে বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল,আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা বা পাবলিক প্রসিকিউটর, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, সহকারী জজ, সামরিক বাহিনীতে জাজ এডভোকেট জেনারেল, ব্যারিস্টার ও অ্যাডভোকেট হওয়ার। পাশাপাশি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সহকারী আইনসচিবও হতে পারেন। কাজ করা যায় মানবাধিকার নিয়েও।

এছাড়াও বিশেষ অগ্রাধিকার থাকে বিদেশি দূতাবাস, ব্যাংক ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে ল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে। বিদেশে ইমিগ্রেশন অফিসার হিসেবেও কাজ করেন কেউ কেউ। ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, আইওএম, আইএলও‘র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতেও আইনের ডিগ্রিধারীদের জন্য রয়েছে আলাদা কর্মক্ষেত্র। 

আবার আপনার যদি আইন পড়ে শিল্পকলায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে চলচ্চিত্র আইন পরামর্শক কিংবা জনপ্রিয় ভারতীয় সিরিজ আদালতের মতো চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকারও হতে পারেন। এছাড়াও স্বাধীন লেখক হওয়ার অদম্য চেষ্টা থাকলে আপনি আইনী গল্প লিখে হয়ে যেতে পারেন ঔপন্যাসিক জন গ্রিশামের মতো কেউ একজন।

পঠন পরিসর:
আইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ নানান কোর্স পড়ানো হয়। মৌলিকভাব আপনাকে আইনের বিজ্ঞান, দর্শন ও ব্যাকরণ হিসেবে পরিচিত ‘জুরিসপ্রুডেন্স’ পড়তেই হবে। যেখানে আইনের একেবারে প্রাথমিক ও অপরিহার্য বিষয় গুলো এতে শেখানো হয়। এছাড়াও মোটামুটি সব বিশ্ববিদ্যায়েই আইন বিভাগে সাংবিধানিক আইন, পারিবারিক আইন, ধর্মীয় আইন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোনো দেশের জন্য অপরিহার্য আন্তর্জাতিক আইন, ভূমি আইন, ক্রয়বিক্রয়–সংক্রান্ত আইন, পরিবেশ আইন, অপরাধ আইন,সমুদ্র আইন, সিপিসি, সিআরপিসি পড়ানো হয়। এর বাইরে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মানবাধিকার আইন, রিয়েল এস্টেট আইন,সাইবার আইন, আয়কর আইন, চুক্তি ও বাণিজ্যিক আইনের মতো কিছু বিশেষায়িত বিষয় পড়ানো হয়।

ভর্তি যোগ্যতা:
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনজ্ঞদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে আজকাল বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগ ছেড়ে অনেকেই আইন পড়তে আসছেন। আইনে পড়াশোনা করতে যে কোনো বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি এলএলবি (সম্মান) ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ থাকে। দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইন পড়তে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ভর্তিপরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সামাজিক বিজ্ঞান বা কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আইন অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকার শুরুর দিকে থাকা শিক্ষার্থীরাই আইন পড়ার সুযোগ পান। তবে চাহিদা বাড়ায় এখন দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে সুযোগ পেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যোগ্যতার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি'র) নিয়মে স্পষ্ট করা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা সংক্রান্ত নিয়মে বলা হয়েছে, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পাবলিক পরীক্ষার প্রতিটি পর্যায়ে অবশ্যই ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা জিপিএ ২.৫০ অথবা সমমানের গ্রেড থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.০০ থাকলে উভয় পরীক্ষায় অবশ্যই মোট জিপিএ অন্যূন ৬.০০ থাকতে হবে। তবে তালিকায় উপরের দিকে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য এরচেয়েও বেশি ফলাফল নির্ধারণ করতে দেখা যায়। যেমন: বেসরকারি ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ধরতে পারি, বিশ্ববিদ্যালয়টি ন্যূনতম যে যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে তাতে বলা হচ্ছে, এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় আলাদাভাবে (ঐচ্ছিক বিষয় সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে উচ্চমাত্রার প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ভর্তির সুযোগ পেতে হচ্ছে রাজধানীর বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

কোথায় পড়বেন?
পেশাগত উচ্চমান, স্বাধীনতা, সৃজনশীলতা, ক্যারিয়ার ও সেবা করার সুযোগের কারণে বর্তমানে তরুণ-তরুণীরা এই পেশায় আসতে বেশ আগ্রহী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রায় ৩০ টির বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও আইন নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ আছে। বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য কিংবা মাদ্রাসা যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীর জন্য আইন পড়ার অবারিত সুযোগ আছে। দেশজুড়ে বর্তমানে ১১৩ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবকয়টিতেই আইনের জন্য এলএলবি অনার্স কোর্স চালু আছে। তবে মান অনুযায়ী রাজধানী ও রাজধানীর বাইরের বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় ভর্তিচ্ছুদের। তবে ভর্তি হওয়ার আগে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন, শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় জেনে নেয়া জরুরি। পাশাপাশি দেখতে পারেন বিশ্বের নামকরা, র‍্যাংঙ্কিয়ে উপরের দিকে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একাডেমিক সহযোগিতা চুক্তি আছে কিনা তাও দেখতে পারেন। 

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
মানসম্মত শিক্ষা, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক, অত্যাধুনিক কারিকুলাম, গবেষণার পরিবেশ, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি আর ব্যতিক্রমী নানান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের জন্য দেশেই বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০১ সালে স্যার ফজলে হাসান আবেদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ঢাকার মহাখালীতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত হলেও এ বছরের শেষ নাগাদ মেরুল বাড্ডায় তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস ফেরার কথা রয়েছে। 

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি 
দেশের সর্বপ্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি নর্থ আমেরিকান ইউনিভার্সিটিগুলোর একাডেমিক কারিকুলামের অনুসরণ করে থাকে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থাপন করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞান, প্রকৌশল, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের পাশাপাশি আইন পড়ার সুযোগ রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালুর প্রথম দিকের বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী এ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন।

বেসরকারি ইউনিভার্সিটির মধ্যে এখানেই প্রথম আইন অনুষদের পাঠদান শুরু হয়। জ্ঞানে বিকাশ ও আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বাস্তব ধারণা দিতে দেশের নামকরা প্রথম সারির  বিশ্ববিদ্যালগুলোর প্রথিতযশা অধ্যাপক, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও খ্যাতিমান আইনজীবীদের সমন্বয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি 
শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য, অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে ফ্যাকাল্টি গঠন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পিএইচডিধারী।শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্য অর্জনে মানসম্পন্ন শিক্ষা, বৃত্তি প্রদান, উন্নততর পাঠ্যক্রম ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সংযোগ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের একেবারেই হাতেকলমে শিখানো হয়। এখানকার মুট কোর্টে একেবারে আদালতের এজলাসের আদলে শিক্ষার্থীদের বিচারিক বিষয়াসয় বোঝাপড়া, সমাধান ক্ষমতা পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, যেখানে বিচারবিভাগের সিনিয়র বিচারপতি, আইনজীবীরাও উপস্থিত থাকেন। ফলে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন সহজ হয়ে যায়। 

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
বেসরকারি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঢাকার ধানমন্ডিতে। শ্রেণিকক্ষে ভালো পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা ও অন্যান্য বিষয়ের প্রতিও শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মনোযোগী ও যত্নবান করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষার মান বিবেচনায় রেখে আধুনিক ল্যাব, পাঠাগার, সেমিনারকক্ষ, মিলনায়তন গড়ে তোলা হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

গ্রিন ইউনিভার্সিটি
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। তবে ২০১১ সালে ইউএস-বাংলা গ্রুপ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করে। আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে যুগোপযোগী, মানবিক মূল্যবোধ ও দক্ষতাসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। চলতি বছরের জুলাই থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

খরচ কেমন?
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়াশোনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, দেশের কোন অঞ্চলে অবস্থান আর প্রতিষ্ঠানভেদে খরচে তারতম্য দেখা যায়। তবে মোটামুটি হিসেবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি (অনার্স) সম্পন্ন করতে আনুমানিক ৪ থেকে ১০ লাখ টাকার মতো খরচ গুণতে হতে পারে।