১৩ জুন ২০২৩, ২২:৫১

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যা শেখায়

  © সংগৃহীত

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। আইপিই শিক্ষার্থীদের মতে, এটি ইলেক্ট্রিক্যাল, কম্পিউটার, সিভিল কিংবা মেক্যানিকেলের মতোই একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। তবে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিংই শেখায় না; এটি অন্যদের কাছে তুলে ধরা, ইন্ডাস্ট্রির প্রসেস, লেআউট, ম্যানপাওয়ারসহ সীমিত সম্পদে সুন্দরভাবে  স্থাপনের পরিকল্পনা করা শেখায়। 

আইপিই শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, ইঞ্জিনিয়ারদের মেশিন তৈরি করার নিয়ম, মেশিনের কাজ শেখানো হয়। দেশের বাহির থেকে কেনা মেশিন স্থাপনে ওইসব দেশ সহযোগিতা করলেও ফ্যাক্টরির লে-আউট তৈরি, অল্প ম্যাটারিয়াল মুভমেন্ট দিয়ে উৎপাদন, প্রোডাক্ট ডিফেক্ট কমিয়ে কোয়ালিটি বাড়ানোর প্রসেসসহ উৎপাদন বৃদ্ধিতে তারা সহযোগিতা করে না। সেখানেই ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট এর ব্রিজ হিসেবে কাজ করে আইপিই। 

আরো পড়ুনঃ সমাবর্তনে আটকা বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন

তাদের মতে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা একই সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট শিখতে পারে। এজন্য এক কাজে ম্যানেজমেন্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আলাদা  দুইজনের প্রয়োজন হয় না; যা এই বিভাগের একজনই করতে পারে। এছাড়া টিমওয়ার্কের ক্ষেত্রেও এই বিষয়ের গ্র্যাজুয়েটরা অধিক দক্ষ হয়। এক্ষেত্রে একটি প্রকল্পের গ্রুপ পরিচালনা, প্রজেক্ট ম্যানেজসহ এই বিষয়ের সব কাজের পরিচালনা আইপিইর ইঞ্জিনিয়ারদের  জন্য সহজতর হয়। 

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ হল, প্রোডাকশন প্রসেস কন্ট্রোল, লিন সিগমা, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, জিরো ডিফেক্ট, জাস্ট ইন টাইম, টাইম স্টাডি, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, সেফটি ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্গোনোমিক্স ইত্যাদি।

এই ইঞ্জিনিয়ারদের ইউনিলিভার, নেস্টলে, শেভ্রন, লাফার্জ সুরমা, গ্রামীন ফোন, বাংলালিংকসহ বিভিন্ন অপারেটর এবং অন্যান্য মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকুরির সুযোগ রয়েছে। ইয়াহু এবং ইন্টেলেও আইপিই শিক্ষার্থীরা চাকুরির সুযোগ পায়।