জেনে নিন ১০ মিনিট বৃষ্টিতে ভেজার ৮ উপকারিতা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩, ১২:০৪ PM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩, ১২:৩১ PM
অনেকে শখের বশে বৃষ্টিতে ভিজেন। আবার অনেকে কর্মক্ষেত্রে যেতে গিয়ে ভিজে যান। ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও বৃষ্টিতে ভিজতে পছন্দ করে। তবে অনেকেই ভাবেন বৃষ্টিতে ভিজলে সর্দি-জ্বর হতে পারে। জানলে অবাক হবেন, ক্ষতি নং বরং বৃষ্টিতে ভিজলে বেশকিছু উপকার হয়। তবে ১০-১৫ মিনিটের বেশি ভেজা উচিত নয়। ভেজার পরপরই হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলতে হবে।
চলুন জেনে নিই বৃষ্টিতে ভিজলে আপনার শরীরে কী কী উপকার মিলবে-
ত্বকের সৌন্দর্য
ভারি বৃষ্টির সময় যে জলীয়বাষ্প উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ এর ফলে পরিবেশে থাকা ক্ষতিকর জীবাণুদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। এতে ত্বক আরও উজ্জ্বল ও কমনীয় হয়ে ওঠে।
চুলের সুস্বাস্থ্য
বৃষ্টির পানিতে আছে প্রাকৃতিক অ্যালকাইন, যা মাথার ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা দূর করে। এতে চুলের গোড়া হবে মজবুত। তাই বৃষ্টির পানি ব্যবহারের ফলে চুলের রুক্ষতা কমে এবং অধিক উজ্জ্বল দেখায়। এ ছাড়া এই পানি খুশকিও দূর করে। তবে বৃষ্টিতে ভেজার পর ভালোমতো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
অবসাদ মুক্তি
বৃষ্টিতে ভেজার ফলে শরীরে এন্ডোরফিন ও সেরাটোনিন হরমোন ক্ষরণ হয়। এতে দূর হয় মানসিক অবসাদ। এছাড়া বৃষ্টির সময় পরিবেশে যে ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে তাকে বলা হয় পেট্রিকোর। এটি মানুষকে আরও চনমনে করে তুলতে সহায়তা করে। নিয়মিত বৃষ্টিতে ভিজলে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক হবে খুব শিগগিরই।
ভিটামিন বি
বৃষ্টির পানিতে থাকে হালকা অ্যালকাইন ও বেশ কিছু অণুজীব। যেগুলো বিপাকের মাধ্যমে ভিটামিন বি-১২ তৈরি করে। ফলে বৃষ্টিতে ভিজলে ভিটামিন বি এর অভাব দূর হয়। আপানার যদি ভিটামিনের অভাব থাকে; তাহলে নিয়মিত ১০-১৫ মিনিট বৃষ্টিতে ভিজতে পারেন। তবে বৃষ্টিতে ভেজার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোমতো গোসল করে নিতে হবে।
কানের সমস্যা
বৃষ্টির পানির আরেকটি অন্যতম কার্যকারিতা হলো কানের সমস্যা দূর করা। কানের ব্যথা ও ইনফেকশন দূর করতে এই পানি উপকারী। তবে মাত্রাতিরিক্ত ভিজলে বা বাতাস থাকলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। ১০-১৫ মিনিটের বেশি ভেজা উচিত নয়। ভেজার পরপরই হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলতে হবে।
চর্মরোগের সমাধান
বৃষ্টিতে ভিজলে বিভিন্ন চর্মরোগ দূর হয়। বিশেষ করে চুলকানি, ফুসকুড়ি ও ঘামাচি দূর করতে বৃষ্টির পানি কার্যকর। এ ছাড়া শরীরের খসখসে ভাব দূর করতেও এই পানি ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: যেভাবে উপস্থিত বুদ্ধি, কথা বলার দক্ষতা, ম্যাচুরিটি বাড়াবেন
শরীরের বিষাক্ত উপাদান
বৃষ্টির পানি পান করার ফলে দেহে থাকা বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে যায়। উন্নতি ঘটে হজম ক্ষমতার। এই পানি রক্তের পিএইচ লেভেলকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে। তাই অ্যাসিডিটির মাত্রাও কমে।
মন খুশি হয়
বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরে এন্ডোরফিন ও সেরাটোনিন নামক হরমোনোর ক্ষরণ হয়। যা আমাদের আনন্দের অনুভূতি দেয়। এ কারণে বৃষ্টিতে ভিজলে সব দুঃশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই সুযোগ পেলেই ঝুম বৃষ্টিতে নেমে পড়ুন ভিজতে!