শেষ ১০ দিনে ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি প্রস্তুতি
আগামী ১২ মে বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ক' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাত্র ১০ দিন বাকি। শেষ সময়ে শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত সোনালি স্বপ্নের ক্যাম্পাসের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রথমেই ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন জেনে নেওয়া যাক। ‘ক’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষায় ৬০ নম্বর, আর লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বর থাকবে ৪০। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে। সুতরাং, সময় ব্যবস্থাপনা ও সঠিক পরিকল্পনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
‘ক’ ইউনিটে চান্স পাওয়াটা অন্য ইউনিটগুলোর তুলনায় কঠিন। কারণ এই ইউনিটে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। ‘ক’ ইউনিটে আসন ১ হাজার ৮৫১টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ১ হাজার ৭৭৫টি, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫১টি এবং বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। এই ইউনিটেও চান্স পেতে কঠোর প্রস্তুতি দরকার। কেননা পরীক্ষার্থীকে এমসিকিউ ও লিখিত অংশে আলাদা আলাদা ভাবে পাস করতে হবে ও মোট ৪০ নম্বর অবশ্যই পেতে হবে।
তবে, শুধু পাস করলেই হবে না এমসিকিউ মেধাক্রম দিয়ে লিখিত খাতা মুল্যায়নের পর্বে প্রবেশ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিটের ৫ গুন খাতা লিখিত পরীক্ষায় মুল্যায়ন হবে তাই পাস মার্কস দিয়ে নয় বরং তার থেকে আরো বেশি কিছু মাকর্স অর্জনের মধ্যে দিয়ে এমসিকিউ মেরিটে প্রবেশ করে লিখিত খাতা সহ মূল্যায়ন করিয়ে স্বপ্নের ঢাবিতে একটি সিট হয়তো তোমার ঝুড়িতে আসতে পারে।
স্বপ্নের এই ক্যাম্পাসে প্রবেশিকা হিসেবে তোমাদের যে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের একটি রুদ্ধশ্বাস পরীক্ষা দিতে হয়, সেই প্রস্তুতির জন্য বরাবর তোমরা তিনটি মাসের অধিক সময় তোমাদের বেসিক পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেছো।
দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার হলের সময় টুকুতে নিজের সর্বোচ্চ দিতে পারে না। এর পেছনে সবচেয়ে বড় বাধা হলো শেষ সময়ে গোছানো প্রস্তুতির অভাব। এখন সময় এসেছে শেষ সময়ে সেই প্রস্তুতি সম্পর্কে জানা ও মস্তিষ্কে পরিপূর্ন ভাবে সেট করার।
শেষ সময়ের প্রস্তুতির জন্য এতদিন যা পড়েছো তা ভালোভাবে গোছাতে হবে। মানসম্মত প্রশ্নের মাধ্যমে পর্যাপ্ত মডেল টেস্ট দিতে হবে। মডেল টেস্ট যত বেশি দেবে তত বেশি প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে বুঝতে পারবে।
পরীক্ষার পূর্বের ৭২ ঘণ্টায় প্রস্তুতি কৌশল:
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ধরণ বিশ্লেষণ করে আমাদের আসপেক্ট সিরিজের জনপ্রিয় লেখকগণ সমাধান নিয়ে আসছেন। আর তা হল পর্যাপ্ত অনুশীলনের জন্য আসপক্ট চর্চা সিরিজ। যেমন ভার্সিটি চর্চা বা ভার্সিটি প্রাকটিস বুক। আর পুরো প্রস্তুতিটাকে গোছানো এবং ৭২ ঘণ্টায় রিভিশন দেওয়ার জন্য আসপেক্ট চূড়ান্ত সাজেশন। এই বইগুলির সমন্বয় করে ঢাবির জন্য নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে তোমার প্রস্তুতিটাকে সম্পন্ন করো তাহলে আশা করা যায় শেষ মুহূর্তে সঠিকভাবে রিভিশনসহ গোছানো প্রস্তুতির কারণে তোমার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিট নিশ্চত হবে, ইনশা আল্লাহ।
ওভারভিউ বা হাইলাইটস হিসেবে তোমার ভর্তি পরীক্ষার সহায়ক হিসেবে তুমি আসপেক্ট সিরিজের ইংরেজি, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং গণিত এর চূড়ান্ত সাজেশনগুলোতে ভরসা রাখতে পারো। এই বইগুলো মনোযোগ সহকারে রিভাইস করলে অধিকাংশ প্রশ্নই কমন পাবে ইনশাআল্লাহ।
তোমাদের কাঙ্খিত স্বপ্নপূরণ হোক, পরিশ্রম সার্থক হোক শুভকামনা রইল।
লেখক: কেমিস্ট্রি প্লাস, প্রধান সম্পাদক আসপেক্ট সিরিজ