দীর্ঘসময় ‘ইয়ার বাড’ লাগিয়ে কানের ক্ষতি করছেন না তো? জেনে নিন সমাধান
মোবাইল ফোনে গান শোনা হোক বা কথা বলা, বেশির ভাগ মানুষ কানে ইয়ারফোন বা বাড গুঁজেই কাটিয়ে দেন।
বাস থেকে ট্রাম, বিমান থেকে গ্রাম্য এলাকা যেখানেই যান না কেন, কানে হেডফোন (Headphone) লাগানো মানুষ চোখে পড়বেই। কানে হেডফোন লাগিয়ে মানুষ অন্য এক দুনিয়ায় চলে যান। নিজের পছন্দের নানা গান কানে বাজতে থাকে। তবে হেডফোন এখন পুরনো ফ্যাশন। এখন সামনে এসেছে ইয়ারবাডস (Earbuds)। কোন প্রকার তারের ঝামেলা ছাড়া সরাসরি ব্লুটুথের মাধ্যমে কানে বাজছে পছন্দের মনোরঞ্জন। ফলে জিম থেকে হাঁটা, সর্বত্রই ব্যবহার হচ্ছে এই ইয়ারবাডস।
আমাদের হাতের কাছে থাকা বিভিন্ন ইয়ারফোন (Earphone) বা হেডফোনের (Headphone) প্রযুক্তি অনেকটা পুরনো হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে ইয়ারবাডসের মাধ্যমে একেবারে হাই ডেফিনেশন সাউন্ড পাওয়া যায়। কানে একেবারে হোম থিয়েটারের মতো অনুভূতি আসে। এছাড়া তার মুক্ত হওয়াতেও বহু ক্ষেত্রেই এর ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। তাই বহু মানুষ এখন এই ইয়ারবাডস ব্যবহার করেন। তবে কানে এই ইয়ারবাডস ব্যবহার কি আসলেই ভালো?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর মতে, বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে প্রায় ১১০ কোটি মানুষের কোনও না কোনও ধরনের শ্রবণ সংক্রান্ত সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে। আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ বছরের কম, তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষই নিয়মিত ইয়ারফোন বা বাডের মতো যন্ত্র ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির উন্নতিতে গান শোনা বা কথা বলার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে, এ কথা যেমন সত্যি, তেমনই এই পরিবর্তনের ফলে কানের ক্ষতি হচ্ছে সে কথাও সত্যি। দীর্ঘসময় কানে ইয়ারফোন বা বাড ব্যবহারের ফলে সম্পুর্নরুপে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলার আশঙ্কাও থেকে যায়। তাই আমাদের এসব যন্ত্র ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত। জেনে নিন কিভাবে ইয়ার বাড বা ফোন ব্যবহার করবেন--
১) সবচেয়ে ভাল উপায় হল, একেবারে কম ভলিউমে গান শোনা।
২) একটানা বেশি ক্ষণ গান শুনবেন না। শুধু কান নয়, সেখান থেকে মস্তিষ্কেও সমস্যা হতে পারে।
৩) প্রয়োজনে বাড ব্যবহার করার পর শুকনো কাপড় দিয়ে তা মুছে পরিষ্কার করে রাখুন।
৪) অনলাইনে ইয়ার বাড না কেনাই ভাল। এক এক জনের কানের গ্রন্থির আকার, গঠন এক এক রকম হয়। তাই সামনে থেকে ব্যবহার করে দেখে কেনা ভাল।
৫) কানে বাড দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করা যাবে না।
৬) মাঝে মাঝেই কান পরিষ্কার করুন।
৭) কোনও সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।