ঢাবির মানবিক ও বিভাগ পরিবর্তন ইউনিটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
আগামী ৬ মে বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। শেষ সময়ে শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত সোনালি স্বপ্নের ক্যাম্পাসের মানবিক ও বিভাগ পরিবর্তন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রথমেই ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টনে জেনে নেওয়া যাক। মানবিক ও বিভাগ পরিবর্তন ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষায় ৬০ নম্বর, আর লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বর থাকবে ৪০। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে। সুতরাং, সময় ব্যবস্থাপনা ও সঠিক পরিকল্পনা একটি বিশাল বাধা।
‘খ’ ইউনিটে চান্স পাওয়াটা অন্য ইউনিটগুলোর তুলনায় সহজ। কারন আসন সংখ্যা মানবিক(১৭৪৪) ও বিভাগ পরিবর্তন ৯০৮ টি(বিজ্ঞান), ২৮২ টি(ব্যবসায় শিক্ষা) সহ মোট ২৯৩৪টি। তবে এই ইউনিটেও চান্স পেতে কঠোর প্রস্তুতি দরকার। কেননা পরীক্ষার্থীকে এমসিকিউ ও লিখিত অংশে আলাদা আলাদা ভাবে পাস করতে হবে ও মোট ৪০ নম্বর অবশ্যই পেতে হবে।
তবে, শুধু পাস করলেই হবে না MCQ মেধাক্রম দিয়ে লিখিত খাতা মুল্যায়নের পর্বে প্রবেশ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিটের ৫ গুন খাতা লিখিত পরীক্ষায় মুল্যায়ন হবে তাই পাস মার্কস দিয়ে নয় বরং তার থেকে আরো বেশি কিছু মাকর্স অর্জনের মধ্যে দিয়ে MCQ মেরিটে প্রবেশ করে লিখিত খাতা সহ মূল্যায়ন করিয়ে স্বপ্নের ঢাবিতে একটি সিট হয়তো তোমার ঝুড়িতে আসতে পারে।
স্বপ্নের এই ক্যাম্পাসে প্রবেশিকা হিসেবে তোমাদের যে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের একটি রুদ্ধশ্বাস পরীক্ষা দিতে হয়, সেই প্রস্তুতির জন্য বরাবর তোমরা তিনটি মাসের অধিক সময় তোমাদের বেসিক পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেছো।
দীর্ঘ ৭ বছরের পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার হলের সময় টুকুতে নিজের সর্বোচ্চ দিতে পারে না। এর পেছনে সবচেয়ে বড় বাধা হলো শেষ সময়ে গোছানো প্রস্তুতির অভাব। এখন সময় এসেছে শেষ সময়ে সেই প্রস্তুতি সম্পর্কে জানা ও মস্তিষ্কে পরিপূর্ন ভাবে সেট করার।
প্রথমত, মানবিক ও বিভাগ পরিবর্তনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আসা আমাদের যে বাংলা, ইংরেজী ও সাধারণ জ্ঞান এর উত্তর করতে সেগুলোর গুরুত্বপূর্ন টপিক গুলো বাছাই করা। গুরুত্বপূর্ন টপিক গুলো রিভাইস করলে ভর্তি পরীক্ষায় অনুরূপ প্রশ্ন কমন পড়ার তীব্র সম্ভবনা থাকে।
দ্বিতীয়ত, পর্যাপ্ত প্রশ্ন বিশ্লেষন এর মাধ্যমে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়া। কারণ বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে প্যারালাল তথ্য কমন পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অপশন গুলোকে বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা সহ প্রতিটি প্রশ্ন সলভ করতে হবে শেষ সময়ের জন্য। বিশেষ করে নতুন প্রশ্ন প্যাটার্ন এর জন্য বিগত ৬-৭ বছর পড়লে যথেষ্ট। সময় পেলে ১০ বছরের টা শেষ করে ফেলবে।
সর্বশেষ, মানসম্মত মডেল টেষ্ট প্রাকটিসের মধ্য দিয়ে নিজেকে নিজেই যাচাই করা ও ওভারভিউ রিভাইস দেয়া। যেহেতু ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটে তোমাকে MCQ ও লিখিত অংশ দুটোই কমপ্লিট করতে হবে। তাই সময় ব্যবস্থাপনা শিখতে হলে এখন থেকে প্রতিনিয়ত তুমি বেলা ১১টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নাও। সময় ব্যবস্থাপনা করতে মানসম্মত মডেল টেস্ট ও কনসেপ্ট ক্লিয়ার করতে ও কনফিউশান দূর করতে সাহায্য করবে ওভারভিউ বা হাইলাইট তথ্যের রিভাইস। শেষ মুহূর্তে হাইলাইটস গুলো তোমাকে তোমার বিগত সকল পড়াগুলোকে পূর্ণতা দিতে সহায়তা করবে তাই এই পার্টটা যেন ছুটে না যায়।
ওভারভিউ বা হাইলাইটস হিসেবে তোমার ভর্তি পরীক্ষার সহায়ক হিসেবে তুমি ইংরেজি, বাংলা ও জিকে এর জন্য আসপেক্ট সিরিজের চূড়ান্ত সাজেশন আসপেক্ট ENGLISH TOSS ও আসপেক্ট সিরিজের বাংলা চিরকুট বই দুটিতে ভরসা রাখতে পারো। এই বই দুইটি মনোযোগ সহকারে রিভাইস করলে অধিকাংশ প্রশ্নই কমন পাবে ইনশাআল্লাহ।
লেখক: সম্পাদক, আসপেক্ট সিরিজ