রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের খুঁটিনাটি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক (সম্মান) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গত বছরের ন্যায় তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মানবিক বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে ‘এ’ ইউনিট। তাই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই ইউনিটটি।
‘এ’ ইউনিটে রয়েছে দেশসেরা রাবির আইন বিভাগসহ আরও বেশকিছু স্বনামধন্য বিভাগ। তাছাড়াও এই ইউনিটে রয়েছে অন্যান্য ইউনিটের তুলনায় সবচেয়ে বেশি আসন। যেখানে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে মানবিক, বাণিজ্য, বিজ্ঞান বিভাগেরও শিক্ষার্থীরাও। যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এই ইউনিটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তাদের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরা হল।
ইউনিট পরিচিতি: ‘এ’ ইউনিটের অধীনে রয়েছে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদের ২৭টি বিভাগ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৮৭৭টি।
আবেদন: আগেই জানানো হয়েছে, রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটে প্রাথমিক আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬১০টি। প্রাথমিক আবেদন থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত আবেদনের জন্য মনোনীত করা হবে। চূড়ান্ত আবেদন আগামী ৯ এপ্রিল বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে চলবে ১৫ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। চারটি ধাপে চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন করা হবে। এই ইউনিটে চূড়ান্ত আবেদন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ১ হাজার ৩২০ টাকা (সার্ভিস চার্জসহ)।
পরীক্ষা পদ্ধতি: গতবারের ন্যায় এবারো বহুনির্বাচনী প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় এবার মোট ৮০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে, সময় এক ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.২৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের ০.২৫ করে নম্বর কাটা হবে। অর্থাৎ চারটি ভুল উত্তরের জন্য ১ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাস নম্বর ৪০।
তবে সঙ্গীত; নাট্যকলা; চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র; মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য এবং গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগসমূহের ব্যবহারিক পরীক্ষার পূর্ণমান হবে ১০০। পাস নম্বর ৪০ নম্বর। ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্র বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
মান বণ্টন: ‘এ’ ইউনিট (কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) এর বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্রে ক, খ, গ তিনটি অংশ থাকবে। এর মধ্যে (ক) বাংলা- ৩৫ নম্বর, (খ) ইংরেজি- ৩৫ নম্বর, (গ) সাধারণ জ্ঞান- ৩০ নম্বর। মোট ১০০ নম্বর।
নির্বাচন প্রক্রিয়া: প্রতিটি ইউনিটে ৭২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই শেষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত আবেদনের জন্য মনোনীত করা হবে। প্রাথমিক আবেদন থেকে পরীক্ষার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ মানবিক শাখা হতে এবং ৪০ শতাংশ, মানবিক ব্যতীত অন্যান্য শাখা হতে নির্ধারণ করা হবে। চারটি শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি শিফটে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে।
ভর্তি পরীক্ষা: আগামী ৩০ মে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চারটি শিফটে (গ্রুপ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটের (গ্রুপ-১) পরীক্ষা সকাল ৯টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সকাল ১০টায়। দ্বিতীয় শিফট (গ্রুপ-২) শুরু বেলা ১১টা শেষ ১২ টায়, তৃতীয় শিফটের (গ্রুপ-৩) দুপুর ১টায় শুরু হয়ে শেষ হবে ২টায় এবং চতুর্থ শিফট (গ্রুপ-৪) বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সাড়ে ৪টায়।
যেভাবে তৈরী হবে মেধা তালিকা: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর কোনো মার্কস নেই। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় যারা বেশি মার্কস পাবে তারাই মেধা তালিকায় এগিয়ে থাকবে। চার শিফটের (গ্রুপ) আলাদা আলাদা মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে।