ঠান্ডা না গরম কোন দুধ উপকারি?

গরুর দুধ
গরুর দুধ   © সংগৃহীত

দুধে রয়েছে ক্যালরি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, শর্করা, স্নেহ পদার্থ আরও অন্যান্য অনেক উপাদান। নিয়মিত দুধ পান করলে শরীর ও মন উভয় সুস্থ থাকে।

কিন্তু সঠিকভাবে গরুর দুধ না ফুটালে অসুখ বাসা বাঁধছে শরীরে। সে অসুখের নাম ব্রুসেলোসিস। ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারতে বহু লোক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে ব্রুসেলোসিসের বাড়বাড়ন্তে সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

দোকানে প্যাকেটজাত অধিকাংশ দুধ পাওয়া যায় তা পাস্তুরাইজ করতে নানা রাসায়নিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। তাই কাঁচা বা প্যাকেট খুলে সরাসরি এই দুধ খাওয়া উচিত নয়। এই দুধ ফুটিয়েই খেতে হবে।

আরও পড়ুন: অল্পতেই রেগে যাচ্ছেন? জানুন সমাধান

টেট্রা প্যাকের দুধ ঠান্ডা অবস্থায় খেতে পারবেন। এর কারণ এই দুধ প্যাকেটজাত করার সময় বেশি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিইয়ে যায় না। তাই দুধে পুষ্টিগুণ বেশিমাত্রায় বজায় থাকে। কিন্তু ঠান্ডা দুধ সকালে খাবেন। রাতে খেলে অনেক সময় হজমে সমস্যা হয়।

ঠান্ডা দুধ খেলে ওজন ও স্থূলতা কমে। ঠান্ডা দুধে থাকা ক্যালসিয়াম বিপাকক্রিয়া বাড়ায়। তাই আপনার শরীরে ক্যালরি বেশি পোড়ে। কিন্তু শীত কিংবা ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা দুধ খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হয়। এই সময় ঠান্ডা দুধ খেলে সর্দি-কাশি হতে পারে।

যাদের হজমের সমস্যা আছে তারা ঠান্ডা দুধ এড়িয়ে চলবেন। ঠান্ডা দুধ তুলনামূলকভাবে ভারি। তাই হজম করতে কষ্ট হয়। গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকে তাই এটি হজম করা সহজ হয়।

ভালো ঘুম ও হজমশক্তি বাড়াতে গরম দুধই খাওয়া উচিত। আপনার হজমের শক্তির উপর নির্ভর করে ঠান্ডা বা গরম দুধ খাবেন।