২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫১

চোখের যত্নে করণীয়

আমাদের শরীরের অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো চোখ  © সংগৃহীত

প্রত্যেক মানুষের শরীরে সব থেকে স্পর্শকাতর অঙ্গ চোখ। তাই চোখের যত্ন নেয়া জরুরি। চোখ দিয়েই আমরা পৃথিবীতে সব দেখি। অনেকের কাজের প্রয়োজনে বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয় কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। চোখের ওপর নানা কিছুর প্রভাব পড়ে।

সব ধরনের ঝুঁকি এবং বিপদ থেকে এই বিশেষ অঙ্গটিকে নিরাপদ রাখতে কিছু টিপস।

 ১. সকালে ঘুম থেকে উঠে হাতের দুই তালু একসাথে  ঘষে কিছুটা গরম করে নিন। এবার সেই তালু চোখের ওপর রাখুন। এতে চোখের পাতা গরম হবে। আর চোখ ভালো থাকবে। দিনে দুই-তিনবার এটি করতে পারলে ভালো।  

২. সম্ভব হলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পায়ে ঘাসের জমিতে হাঁটুন। এতেও চোখের উপকার হয়। আবার সবুজের দিকে তাকিয়ে থাকা চোখের জন্য ভালো, এমনই মনে করেন অনেকে।  

৩. মধু এবং আমলকীর রস মিশিয়ে প্রতিদিন খান। এটি দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো।  

৪. নিয়মিত কাঁচা গাজর খান। চোখের জন্য খুব উপকারী।  পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।

৫. কম্পিউটার বা ফোনে অনেকটা সময় তাকিয়ে থাকলে দিনে চার-পাঁচবার অবশ্যই চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন।  

আরও পড়ুন: পিঠ ব্যথা কেন হয়?

৬. রোজ সকালে কাঠবাদাম, কাজু এবং কিশমিশ খান। রাতে পানিতে  ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে খান।

৭.  ধূমপানে চোখেরও ক্ষতি হতে পারে।  যেমন রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, ছানি পড়া, চোখের স্নায়ুর ক্ষতি ইত্যাদি।

৮. চোখ ভালো রাখতে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ খান।

৯. বাহিরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরুন। সুইমিং পুলে সাঁতারের সময় সুইম গিয়ার পরুন যাতে ক্লোরিনযুক্ত জলের সংস্পর্শ থেকে চোখ সুরক্ষিত থাকে।

১০. টিভি দেখা বা কম্পিউটারে কাজ করার সময় বেশ কয়েকবার বিরতি নিন। একাধারে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে কম্পিউটার ভিসন সিনড্রোম তৈরি হয়। ২ ঘণ্টা পর পর ১০-১৫ মিনিটের বিরতি নিন।

গাজর, বীট, পেঁপে, মাছ ও সবুজ শাকসবজি খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। লাল রঙের ফল ও সবজিতে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ই থাকে যা চোখের জন্য উপকারী। প্রচুর জল পান করুন এবং তাজা ফল ও সবজি খান। এর ফলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে এবং দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি হবে