ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়
দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। ঢাকার ২৭টি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কিছু জিনিস সঠিকভাবেই পালন করলেই আমরা এই সমস্যাটি এড়িয়ে চলতে পারি।
ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ। বৃষ্টির সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়, কারণ স্থির পানিই মশার প্রজননক্ষেত্র।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, ক্লান্তি, জয়েন্টে ব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব ও বমির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে তা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
যদি কোন কারণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। ডেঙ্গু জ্বরের প্রথমদিকে কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার মেনে উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন । জেনে নিন তেমনই কিছু প্রতিকার সম্পর্কে, যা আপনাকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে-
গিলয়ের রস
গিলয়ের রস ডেঙ্গু জ্বরের একটি সুপরিচিত প্রতিকার। গিলয়ের রস বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা ডেঙ্গু জ্বরের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে শরীরকে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে ও রোগীকে স্বস্তি দেয়।
পরিমাণমতো পানিতে গিলয়ের দুটি ছোট কাণ্ড সেদ্ধ করে ওই পানি পান করতে পারেন। এছাড়া এক কাপ পানিতে কয়েক ফোঁটা গিলয়ের রস মিশিয়েও পান করতে পারেন দিনে দুবার। তবে গিলয়ের রস বেশি পান করবেন না।
পেঁপে পাতার রস
ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে প্লেটলেটের পরিমাণ কমে যায়, এক্ষেত্রে পেঁপে পাতার রস প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে দুর্দান্ত কাজ করে। পেঁপে পাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা ডেঙ্গুর চিকিৎসায়ও সাহায্য করে।
এজন্য কয়েকটি পেঁপে পাতা নিন ও পিষে এর থেকে রস বের করুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দু’বার অল্প পরিমাণে পেঁপে পাতার রস খেতে পারেন।
তাজা পেয়ারার রস
পেয়ারার রস একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার আপনার খাদ্যতালিকায় তাজা পেয়ারার রস যোগ করতে পারেন।
পেয়ারার রস আপনাকে অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও দেবে। এক কাপ পেয়ারার রস দিনে দু’বার পান করুন। জুসের বদলে তাজা পেয়ারাও খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: ইডেন কলেজের বিশৃঙ্খলা তদন্ত করবেন তিলোত্তমা-নিশি।
মেথি বীজ
মেথি বীজ একাধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ, যা ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এক কাপ গরম পানিতে কিছু মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখতে পারেন। পানি ঠান্ডা করে দিনে দু’বার পান করুন।
ভিটামিন সি, কে ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় মেথির পানি আপনাকে অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করবে। মেথির পানি জ্বর কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অপরদিকে খাদ্যাভাস পরিবর্তনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারেন:
আপনার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ হবে দ্রুত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ডেঙ্গুর প্রাথমিক উপসর্গ থেকেও সহজে নিস্তার মেলে। এজন্য এ সময় অবশ্যই ডায়েটে সাইট্রাস জাতীয় খাবার, রসুন, বাদাম, হলুদ ও আরও অনেক কিছু যোগ করতে হবে। এছাড়া ডেঙ্গুতে ড্রাগন ফ্রুট খুবই উপকারি।
এছাড়া কিছু নিয়ম মেনে চলা-
• নিয়মিত স্প্রে করা/মশার প্রজনন এলাকায় ফগিং করা এবং জলের স্থবিরতা এড়ানো
• প্রতিরক্ষামূলক / প্রতিবন্ধক পোশাকের ব্যবহার, প্রতিরোধক সহ
• দিনের বেলায় যতটা সম্ভব বাইরের এক্সপোজার এড়িয়ে চলা