চাকরিপ্রার্থীর যে গুণাবলি থাকা জরুরি
পাড়াশোনার পাঠ শেষ করার পর দরকার শুধুই একটি চাকরি। পছন্দের কাজ পাওয়া একটা কঠিন বিষয়। চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে বিশেষ গুণ আপনাকে সহজেই চাকরি পেতে সাহায্য করবে।
আপনি যদি চাকরি পেতে চান তবে নিচের গুনগুলো আপনার ভিতর থাকা জরুরি। গুণাবলীগুলো কী কী? এবং কীভাবে আপনি তাদের সাথে কথা বলবেন সেই বিষয়গুলো জেনে নেই।
সত্যতা
একজন চাকরি-প্রার্থীর জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হল সত্যতা। আপনি বিশ্বাসযোগ্য না হলে আপনার অন্য কোনো গুনাগুন কাজেই আসবে না। এর অর্থ হলো নিজের উপর বিশ্বাস করা এবং আপনার প্রকৃত গুণাবলী দেখানো যা আপনাকে সেই পছন্দসই অবস্থানেই নিয়ে যেতে পারে। নিজের সম্পর্কে যে তথ্যগুলো দিবেন সেটা যেন অবশই সঠিক হয়। ভুল তথ্য দিয়ে পরে কাজের ক্ষেত্রে গিয়ে বিপদে পড়তে পারেন।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
আপনি যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনি কী পছন্দ করেন, যে কাজের জন্য আবেদন করেছেন সেই কাজে কেমন পারদর্শী সেই সম্পর্কে উত্তর আগে থেকেই তৈরি করে নিন। দরকার হলে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করে উত্তর বের করে নিন। এতে নিয়োগকারী আপনার উত্তর জেনেই বুঝতে পারবে আপনি এই কাজের জন্য একদম ঠিক। এতে আপনার জন্য ইতিবাচক অবস্থা তৈরি হবে। আপনি বর্তমানে যেখানে চাকরি করেন সেখানেও আপনার সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করুন। যেনো আপনার সম্পর্কে খবর নিলে ভালো উত্তই তারা পায়। কাজে ভালো নয় এমন কাউকে কেউ নিয়োগ দিতে চায় না।
আরও পড়ুন: পাস করা যেখানে কষ্টের, ফার্স্ট ক্লাস সেখানে বিলাসিতা
আত্মবিশ্বাস
চাকরি-প্রার্থীদের জন্য আত্মবিশ্বাস একটি বড় গুণ। একজন চাকরি-প্রার্থীর জন্য আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় ফোকাস এবং প্রস্তুতি থেকে। আপনি যদি আপনার কাজের দিকে ফোকাস করেন তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। যে কাজ করবেন চিন্তা করে দেখুন তার জন্য আপনি কতটুকু উপযুক্ত। শুধুমাত্র সেইসব পদে আবেদন করুন যার জন্য আপনি নিজেকে উপযুক্ত মনে করেন। আপনি যদি নিশ্চিত না হন যে কাজটি করতে পারবেন কিনা তাহলে সেদিকে না যাওয়াই ভালো। প্রত্যেক ইন্টারভিউ এর আগে অবশ্যই প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। কাজের বিষয়ে জানুন। আপনি আয়নার সামনে দাড়িয়েও অনুশীলন করেত পারেন। এটি বেশ কাজে দেয়।
প্রভাব
আপনি যদি একজন নিয়োগকর্তাকে প্রভাবিত করতে চান তবে আপনার কৃতিত্বগুলি বলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে কাজগুলি করেছেন সেগুলি সম্পর্কে কেবল কথা বলবেন না। এটার প্রভাব, কীভাবে আপনি একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিকে বড় জয়ে পরিণত করেছেন, কীভাবে আপনি একটি দলকে কিছু অর্জন করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই সম্পর্কে ব্যাখ্যা করুন। ইন্টারভিউ এর আগে চিন্তা করুন কীভাবে পুরো বিষয়টা বলবেন। তবে কথা বলতে সতর্ক থাকুন,আপনি যে সাফল্যগুলি বর্ণনা করবেন সেখানে একটি দলীয় প্রচেষ্টা ছিল সেটা বলবেন । আমি, আমার এগুলো এড়িয়ে চলুন।
কৃতজ্ঞতা
চাকরি-প্রার্থীদের জন্য সর্বশেষ যে গুণটি থাকা দরকার তা হলো কৃতজ্ঞতা। যদি কেউ চাকরির জন্য আপনাকে সাহায্য করে তবে তাকে ধন্যবাদ দিন। ফোনে একটি বার্তা বা প্রশংসামূলক ইমেলও পাঠাতে পারেন। আপনি যাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন চাকরির জন্য, যাদের কাছে আপনি ইন্টারভিই দিয়েছেন তাদেরকেউ পাঠাতে পারেন। এমনকি যে প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে ‘না’বলেছে তাদেরও ধন্যবাদ লিখে একটি মেইল পাঠাতে পারেন। কে জানে তারা তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে বা পরের বার আপনাকে ডাকতে পারে।
সূত্র : ফার্স্ট কোম্পানি ডটকম।