ফেসবুকে গুজব, ‘এক্সওএক্সও’র সঙ্গে হ্যাকিংয়ে কোনো সম্পর্ক নেই
“আপনার ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক হয়েছে কিনা, নিজেই পরীক্ষা করে জেনে নিন। প্রথমে XOXO লিখবেন যদি লেখাটা লাল রঙের হয় তাহলে হ্যাক হয়নি, আপনি নিরাপদ। আর না হয় বিপদে।” সম্প্রতি এমন একটি পোস্টে ভরে গেছে ফেসবুক। যা অনেকেই শেয়ার করছেন। অতীতেও বিভিন্ন সময়েই এই গুজবটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে।
বাস্তবে এই বার্তাটি গুজব। XOXO লেখার সাথে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া বা পাসওয়ার্ড চুরি হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
মূল বিষয় হচ্ছে, ফেসবুক বিভিন্ন ভাষায় নির্দিষ্ট কিছু শব্দকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে থাকে। ফলে সেই শব্দগুলো ফেসবুকের কোনো পোস্ট বা মন্তব্যে টাইপ করলে একেক শব্দের জন্য একেক ধরনের ‘রঙ’ ও ‘অ্যানিমেশন’ দেখানো হয়।
ফেসবুকে Text Delight নামের একটি ফিচার রয়েছে। এর ফলে নির্দিষ্টি কিছু শব্দ বা শব্দগুচ্ছ টাইপ করলে নির্দিষ্ট এ্যানিমেশন দেখা যায়। যিনি টাইপ করছেন তিনি নিজে এবং অন্যান্য ফেসবুক ব্যবহারকারী এটা দেখতে পান।
যেমন- ইংরেজিতে congrats অর্থাৎ “অভিনন্দন” শব্দটা টাইপ করলেই শব্দটি লাল বর্ণের হয়ে যাবে এবং স্ক্রিণে বেশ কিছু বেলুন ও কনফেত্তি ছোটাছুটি করবে কয়েক সেকেন্ডের জন্য।
‘Congratulations বা Congrats ‘ কিংবা বাংলায় ‘অভিনন্দন’ মন্তব্যে লিখলে, লেখাটি লাল হবে এবং তাতে ক্লিক করলে প্রদর্শিত হবে বেলুন। তেমনি রঙে পরিবর্তন হবে bisous, best wishes, xoxo, you’re the best, you got this এবং বাংলায় ‘সোনা’ এই শব্দগুলো।
আসলে একাউন্ট নিরাপদ কিনা সেটা ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করে। এজন্য কমপক্ষে আট শব্দের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা ভালো। বেশি হলে আরো ভালো এবং নিরাপদ হয়। আর হ্যাকের হাত থেকে রক্ষা পেতে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ প্রক্রিয়া চালু করা ভালো।
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করার নিয়ম
এই অপশনটি চালু করতে প্রথমে আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগিন করুন। এরপর আপনার ফেসবুক অ্যাপ বা ব্রাউজার থেকে ফেসবুক Security and login-এ ক্লিক করে Settings-এ প্রবেশ করুন।
কিছুটা নিছে স্ক্রল ডাউন করে ‘Two-factor authentication’ এর পাশে থাকা Edit-এ ক্লিক করুন। এরপর আপনার ফেসবুক পাসওয়ার্ড প্রদান করে আপনার যে নাম্বারে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পেতে চান, সেটি প্রদান করে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ফিচার চালু করার সেটাপ সম্পন্ন করুন।