শিক্ষকের অপমান সইতে না পেরে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রের বিষপান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে রাজশাহী হাজী আবুল হোসেন ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির কম্পিউটার টেকনোলজির ছাত্র রাফিউল ইসলাম রাফি।
ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ্ আল মামুনসহ কয়েকজন শিক্ষকের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছে তিনি।
রাফি পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা। বাবা মো. রবিউল ইসলাম কান্দ্রা দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। ২০২০ সালে বাবার মাদরাসা থেকেই তিনি দাখিল পাস করেন। এরপর ভর্তি হন রাজশাহী হাজী আবুল হোসেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি নামক প্রতিষ্ঠানে। এই একই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেছেন রাফির বড়ভাই সাব্বির। সাব্বির এখন ঢাকার একটি বেসরকারি ফার্মে কর্মরত।
তিনি জানান, ওই ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা মাঝে মাঝেই কারণে অকারণে রাফিকে অপমানজনক কথা বলতো। গত দু’মাস ধরে এমন চলে আসছিলো। প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে বিষয়টি জানানোর পর রাফির অভিযোগের প্রতিকার না করো উল্টো তাকে অপমান করেন।
জানা গেছে, গত রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কলেজে উপ-বিভাগীয় প্রধান সাদিকুল ইসলাম ও বিভাগীয় প্রধান সাজ্জাদ আলীসহ কিছু শিক্ষক রাফিকে অপমান করে। সেই অপমান করার অভিযোগ রাফি উপাধ্যক্ষ মামুনকে জানাতে গেলে তিনিও রাফিকে পিতা-মাতা তুলে অপমানজনক কথা-বার্তা বলেন। চরম অপমান সইতে না পেরে রাফি মেসে ফিরে এসে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এর আগে রাফি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। বিষয়টি তার মেসের ছাত্ররা জানতে পেরে তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। রাফি বর্তমানে হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন বলেন, ওই সময় রাফির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার রুমমেটরা তাকে প্রথমে নওদাপাড়া ইসলামি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রামেক হাসপাতালে রেফার করেন। পরবর্তীতে তাকে রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার শরীর থেকে বিষ পরিষ্কার করা হলেও বর্তমানে তার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রামেকের দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা।