পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান
রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ ও ৫ শিক্ষার্থীকে আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আজ রবিবার ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এতে ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানানো হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনার সময়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার ফলে সকল স্তরের শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়ে। অন্যান্য ক্ষেত্রে অনলাইনসহ বিভিন্নভাবে কিছু ক্লাস করানোর চেষ্টা করা হলেও পলিটেকনিক ইহ্নটিটিউটগুলোর বরাবরের মত উপেক্ষিতই থেকেছে।
‘‘প্রশাসনের উদাসীনতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা যখন সমাধান হিসেবে সেশনজট নিরসন, বেতন-ফি মওকুফ, শর্ট সিলেবাসে পরিক্ষা নেয়া ও ডুয়েটসহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসনসংখ্যা বাড়ানো, এই ৪ দফা দাবি জানিয়ে কর্মসূচী পালন করছে, তখন তাদের উপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নিপীড়ন নেমে এসেছে। শাহবাগে অবস্থানরত ছাত্রদের উপর হামলা, লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।’’
দেখুন: শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ, ৫ পলিটেকনিক শিক্ষার্থী আটক
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলা-মামলা দিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে কখনও বন্ধ করা যায় না। ফলে আন্দোলন দমনের পথে না হেটে পলিটেকনিক ছাত্রদের সমস্যার সমাধানের দিকে মনোযোগ দিন। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে অনেক গালভরা বুলি সরকার মাঝে মাঝে শোনালেও প্রকৃত অর্থে পর্যাপ্ত আয়োজনের কোন উদ্যোগ দেখা যায় না। এতে সেশনজট দূর করা, ডুয়েট ছাড়াও সরকারি উদ্যোগে সকল বিভাগে বিএসসি প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ বিভিন্ন সংকট সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
এদিকে আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে রাশেদ বলেন, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করা ৫ শিক্ষার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিচার করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের অনতিবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে।