৪ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেশনজট কমানোসহ চার দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জানিয়েছে পলিটেকনিকের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘পলিটেকনিক সাধারণত শিক্ষার্থী’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব দাবি ও হুশিয়ারি দেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— স্থগিত হওয়া দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ পর্বে তাত্ত্বিক অংশগুলোকে অটোপাশ দিয়ে ব্যবহারিক অংশগুলোকে পরবর্তী পর্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা। একই সঙ্গে প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের সিলেবাস কমিয়ে অনলাইনে ক্লাস করানোর মাধ্যমে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়া। অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার ও প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর সেমিস্টার ফি ৫০ ভাগ মওকুফ করা। ডুয়েটসহ সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বরাদ্দ করা।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মেহেদি হাসান লিমন বলেন, আমাদের সেমিস্টারে ছয়টি সাবজেক্ট। মোট ২০০ মার্কেট পরীক্ষা হয়। এখানে ১১০ নম্বর প্রাকটিক্যাল ও ৯০ নম্বর লিখিত। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই নম্বর ৫০ শতাংশ করা হবে। কিন্তু আমাদের দাবি, তারা যদি কোনোভাবে লিখিত অংশটা পার করে দেয় তাহলে ব্যবহারিক অংশটা পরবর্তী সেমিস্টারে আমরা করতে পারব। তাতে করে আমাদের সেশনজট হবে না।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে সরকার নির্দেশনা জারি করেছে যে আমাদের টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান বেতন মওকুফ করছে না। বরং তারা বলছে এটা ভুয়া। তাহলে আমাদের সঙ্গে এটা কি করা হচ্ছে? অথচ আমাদের কাছে কাগজ আছে। আমাদের আরেকটা দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় করা হোক। কিন্তু শিক্ষা সচিব বলছে যে আমাদের জন্য আলাদা কলেজ করা হবে। কিন্তু কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় তো এক না। আমাদের বিএসসি কোর্স করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হুশিয়ার করে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখের মধ্যে সব দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন ও অবরোধের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। মানববন্ধনে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।