৪ দফা দাবি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
সেশনজট নিরসনসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা এই দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্থগিত হওয়া দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ পর্বে তাত্ত্বিক অংশগুলোকে অটোপাস দিয়ে ব্যবহারিকগুলোকে পরবর্তী পর্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং একইসঙ্গে প্রথম থেকে সপ্তম পর্বের সিলেবাস কমিয়ে অনলাইনে ক্লাস করানোর মাধ্যমে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়া; অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার ও প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর সেমিস্টার ফি ৫০ শতাংশ মওকুফ করা। এছাড়া সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বরাদ্দ করা।
মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংগঠনের মুখপাত্র মেহেদি হাসান লিমন বলেন, আমাদের সেমিস্টারের ছয়টি সাবজেক্ট রয়েছে। মোট ২শ’ নম্বরের পরীক্ষা হয়। এখানে ১১০ নম্বরে হচ্ছে প্র্যাকটিক্যাল এবং ৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়। কর্তৃপক্ষ বলছেন এই নম্বর ৫০ শতাংশ করা হবে। কিন্তু আমাদের দাবি তারা যদি কোনোভাবে লিখিত অংশটা পাস করে দেয় তাহলে ব্যবহারিক অংশটা পরবর্তী সেমিস্টারে আমরা করতে পারবো।
মেহেদি হাসান লিমন আরও বলেন, এতে করে আমাদের সেশনজট হবে না। অন্যদিকে সরকার নির্দেশনা জারি করেছে আমাদের টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান বেতন মওকুফ করছে না। বরং তারা বলছেন এটা ভুয়া। তাহলে আমাদের সঙ্গে এটা কি করা হচ্ছে? অথচ আমাদের কাছে কাগজ আছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামী মাসের ১ তারিখের মধ্যে আমাদের সব দাবি-দাওয়া না মেনে নিলে আমরা কঠোর আন্দোলন ও অবরোধের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।