অটোপাসের দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
করোনাকালে স্থগিত দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক পরীক্ষাগুলোকে অটোপাস এবং প্রথম তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের ক্লাসে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়াসহ চার দফা দাবি আদায়ে কুমিল্লায় সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় একঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। সড়কের দুই ধারে আটকে পড়ে শত শত যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী যান। এতে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে একঘণ্টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা ও কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়স্ত্রণে আনেন। প্রায় একঘণ্টা অবরোধের পর মহাসড়ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
মহাসড়ক অবরোধে বিক্ষোভে অংশ নেন কুমিল্লার সরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, সিসিএন বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল ও সিপিপিআই পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া কুমিল্লা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জানান, স্থগিত দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক পরীক্ষাগুলোকে অটোপাস এবং প্রথম তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের ক্লাসে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে হবে। এক মাসের লস মানি না, অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার ও প্রাইভেট পলিটেকনিক্যালে সেমিস্টার ফি মওকুফ করতে হবে এবং সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা ছাত্রদের জন্য আসন বরাদ্দ করতে হবে। আর এই চার দফা দাবি মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার সার্কেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত পাল বলেন, হঠাৎ করে শিক্ষার্থীদের অবরোধে থমকে দাঁড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ঘণ্টাব্যাপী অবরোধে যানজট সৃষ্টি হয় মহাসড়কের দুইপাশে। পরবর্তীতে পলিটেকনিকের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে দাবি মানার আশ্বাস দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন বলে জানান তিনি।