আন্দোলনে কারিগরির শিক্ষক-কর্মকর্তারা
মূল বেতনের শতভাগ প্রদানসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ঘোরাও করে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। দাবি মেনে নেয়া না হলে পরবর্তী সেশন থেকে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস না করানোর ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। জনবল বৃদ্ধি না করে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় শিফট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অমানবিক পরিশ্রম করে আমরা তা চালিয়ে নিয়ে গেলেও সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। আগে দ্বিতীয় শিফটের জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ দেয়া হলেও তা কমিয়ে ২০১৫ সালের বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
শিক্ষকরা বলছেন, দ্বিতীয় শিফট পরিচালর জন্য তারা বেতনের ৫০ শতাংশ পেলেও নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বর্তমান বেতনের ২০ শতাংশ দেয়া হবে। ফলে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না তারা। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে-নতুন এ নির্দেশনা বাতিলকরণ, দ্বিতীয় শিফটে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বর্তমান মূল বেতনের ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ অর্থ প্রদান করা এবং করিগরি শিক্ষার নিয়োগবিধি মোতাবেক অধিদফতর ও বোর্ডের সকল পদ কারিগরি শিক্ষার কর্মকর্তাদের দ্বারা পূরণ করা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পলিটেকনিক্যাল পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যকর কমিটির সভাপতি মো. তাহের জামিল বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে ৪৯টি পলিটেকনিক ও ৬৫টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করা হয়। বাড়তি ক্লাসের জন্য শুরুতে আমাদের মূল বেতনের ৫০ দিয়ে শুরু করা হলেও পরে তা বৃদ্ধির করার কথা বলা হয়। অথচ না বাড়িয়ে আরও কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাপ্য সুবিধা আদায় করতে বিগত সময়ে পাঁচবার আন্দোলনে নেমেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন সেশনে আমরা দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।