পরীক্ষার খাতা দেখতে না দেয়ায় কান ফাটিয়ে দিল
পরীক্ষার হলে খাতা দেখে লিখতে না দেয়ায় এক শিক্ষার্থীকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর শহরের চাঁনমারি এলাকায় অবস্থিত ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম সৈয়দ শাওন আলী (১৭)। সে ওই ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল তৃতীয় পর্বের শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত শিক্ষার্থীর বাম কানের পর্দা ফেটে গেছে। এর জন্য অস্ত্রোপচার করতে হবে।
আহত শিক্ষার্থী শাওন জানিয়েছেন, পরীক্ষার হলে তার পাশে আসন পড়েছে সিভিল বিভাগের তৃতীয় পর্বের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদের (১৮)। সাজ্জাদ শহরের পূর্বখাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, পরীক্ষার শুরু থেকে সাজ্জাদ তার ছেলের খাতা দেখে লেখা শুরু করে। সে খাতার এক পাতায় লেখা শেষ করলেও সাজ্জাদের লেখা না হওয়া পর্যন্ত তাকে খাতা উল্টাতে দিত না সাজ্জাদ। গত বৃহস্পতিবার ছিল সামাজিক বিজ্ঞান পরীক্ষা। ওই দিন সাজ্জাদকে খাতা না দেখানোয় পরীক্ষা শেষে ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়ার পর সাজ্জাদ ও তার কয়েকজন বহিরাগত সহযোগী শাওনকে পাশের ঈদগাহ ময়দানে নিয়ে মারধর করে। পরে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
শাওনকে মারধরের কথা স্বীকার করে ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার মো. লুৎফর রহমান বলেন, শাওন বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগে ভর্তি আছে। এ ব্যাপারে সাজ্জাদের অভিভাবকদের ইনস্টিটিউটে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার পর্যন্ত সাজ্জাদের অভিভাবকেরা ইনস্টিটিউটে আসেননি। সাজ্জাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুকুল হোসেন জানান, ‘মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। চিকিৎসা শেষ করে শাওনকে লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’