টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২৫ হাজার জনবল নিয়োগ দেবে সরকার
শিক্ষক সংকটের কারণে দেশের সরকারী পলিটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজগুলোতে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। এসব প্রতিষ্ঠানের যত সংখ্যক শিক্ষক অবসর নিচ্ছেন সে তুলনায় নতুন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে, প্রতিনিয়ত কমছে শিক্ষক সংখ্যা।
বর্তমানে শিক্ষকের অভাবে অনেক প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ক্লাস হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় শিফট খোলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠানে ২৫ হাজার জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে মোট ৪৯ টি সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (এইচএসসি ও ভোকেশনাল কোর্স) এবং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া একটি প্রকল্পের অধীন ১০০ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। ৪৯টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে দ্বিতীয় শিফট রয়েছে।
৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজেও দ্বিতীয় শিফটে এইচএসসি ও ভোকেশনাল কোর্স এবং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। কিন্তু প্রকল্পের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য কর্মরত না থাকায় বাদ পড়ছে। যদিও তাদের অবকাঠামোসহ অন্যসব সমতা যাচাই না করে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিভিন্ন কোর্স চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এসব বিষয় বিবেচনা করে এপ্রিলে এক হাজার ৩৫২টি ক্যাডার পদ এবং ১৭ হাজার ৩০৭টিসহ ১৮ হাজার ৬৫৪টি পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ১০০টি নতুন টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছয় হাজার ৪০০ নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়। এর বাইরে বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ ৭৮৬টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাঠানো হয়। এসব পদ সৃষ্টির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছেন।
এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ বলেন, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষক ও জনবল সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নতুন পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।