ইউসেপ বাংলাদেশের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা
ইউসেপ বাংলাদেশের উদ্যোগে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ হোসেন মোল্লা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহমেদ। ইউসেপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন ও পরিচালক মহুয়া রশিদ। এছাড়াও দুজন শিক্ষার্থী এবং দুজন অভিভাবক ইউসেপ বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ।
অনুষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ হোসেন মোল্লা বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলার জন্য কারিগরি শিক্ষা পদ্ধতির আধুনিকায়ন হয়েছে। আমাদের যে পরিমাণ দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে সেই তুলনায় দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে না। ইউসেপ বাংলাদেশ অবশ্য এই কাজটি বহুদিন ধরে বেশ সফলতার সাথেই করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের আওতায় কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ছেলেমেয়েরা দেশের নানা প্রতিষ্ঠানে সফলতার সাথে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী কোর্স নির্ধারণ করা হচ্ছে । সরকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে যে ২০২০ সালের মধ্যে কলেজ পর্যায়ের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ শতাংশ আসবে কারিগরি কলেজ বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে। তবে কারিগরি শিক্ষার প্রতি সামাজিক মনোভাব পুরোপুরি বদলালে আরো অনেকেই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে উৎসাহিত হবে। আর এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ কতে হবে।
ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের শতকরা ৪১ ভাগের কোনো চাকরি, শিক্ষা এমনকি দক্ষতার কোন প্রশিক্ষন নেই। এ অবস্থায় তরুণ বাংলাদেশিরা বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির অন্যতম বসবাসকারী হওয়া সত্ত্বেও একটি অনিশ্চিত ও নিরাপত্তাহীন ভবিষ্যতের মুখোমুখি হতে পারে। এটা শুধু চাকরির সুযোগের অভাবে নয়, এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবজনিত কারণও যুক্ত আছে। এমন একটি অবস্থায় ইউসেপ বাংলাদেশের তরুণদের জন্য বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত তরুণ-তরুণীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে যা খুবই ইতিবাচক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশনা করেন। শোকের মাস হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতিথিদের বক্তব্য ও শুভেচ্ছা প্রদান শেষে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মাঝে প্রধান অতিথি ক্রেস্ট বিতরণ করেন। সবশেষে ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ইউসেপ বাংলাদেশের বিদ্যালয়গুলোর এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় পাশের হার ৯৮.১৭%, যেখানে জাতীয় পাশের হার ৭২.২৪%। আরও আশার কথা হলো, এখানে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৯৯ ভাগ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে সর্বমোট ৩২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩২১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ২৫১ জন এ+ পায়।