বাংলা-ইংরেজি সব মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক হচ্ছে
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল ও মাদরাসায় কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে একটি ট্রেডে পড়াশোনা করতে হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করার পর আর পড়াশোনা না করে তাহলে সে যেন বেকার না থাকে, সে জন্য এ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বর্তমানে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে আছি। আমরা জিপিএ-৫ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কিন্তু জিপিএ-৫ দিয়ে কী হবে? আমাদের দরকার শিক্ষা জীবন শেষে কর্মক্ষেত্রে কতটা দক্ষতা দেখাতে পারি তার বিচার। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমিউনিকেশন বিষয়ে দক্ষতার অভাব আছে। শিক্ষার্থীদের শোনার এবং বলার দক্ষতা তৈরি করতে হবে।
বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে এক সচেতনতামূলক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নেতৃত্বে র্যালিটি সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গিয়ে শেষ হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘জীবন ও কাজের জন্য শিখতে শেখা’।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হলো শিক্ষিত যুবসমাজকে ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র সর্ম্পকে সঠিক ধারণা প্রদান, কর্মসংস্থান উপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, শিল্পের সাথে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণার্থীদের সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, স্ব-উদ্যোগে প্রশিক্ষিতদের মূল্যায়নের মাধ্যমে সনদায়নের ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, দেশে ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে শ্রমবাজারের পূর্বাভাস, বাজার উপযোগী দক্ষ জনবল তৈরি, প্রশিক্ষণ কারিকুলাম আধুনিকায়ন ও যুগপোযোগীকরণ, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ কারিকুলাম অনুমোদন প্রশিক্ষণার্থী নিবন্ধন এবং সনদায়নের মত বিশাল কর্মকাণ্ড জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত।
আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ উপস্থিত ছিলেন।