জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে নিয়োগের ফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান 

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগের ফল প্রকাশের দাবিতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন প্রার্থীরা।
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগের ফল প্রকাশের দাবিতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন প্রার্থীরা।

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগের ফল প্রকাশের দাবিতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন প্রার্থীরা। তারা সচিবালয়ের প্রধান ফটক ও তিন নম্বর গেইট অবরুদ্ধ করে অবস্থান করছেন। দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। 

রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে এক দফা দাবিতে সচিবালয় গেইটে অবস্থান নিয়ে প্রার্থীরা ফল প্রকাশের দাবি জানান। এ সময় ‘রেজাল্ট চাই রেজাল্ট চাই, আজকেই রেজাল্ট চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, রেজাল্ট নিয়ে ফিরব বাড়ি’ স্লোগান দেন তারা। 

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ফল প্রত্যাশীদের সমন্বায়ক ইমরান হোসেন বলেন, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুলে শিক্ষক সংকট রয়েছে। কারিগরি শিক্ষা ১৮ শতাংশ শিক্ষক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। শিক্ষক সংকট নিরসনে ২০২১ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের মার্চে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নেয় হয়, ফল প্রকাশিত হয় সে বছর অক্টোবরে। উত্তীর্ণদের নিয়ে ভাইভা চলতি বছরে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে মে মাসে শেষ হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা শেষ হলেও আগস্ট মাসেও ফল প্রকাশ হয়নি। 

তিনি আরও বলেন, পরে ১৩ ও ১৫ তম গ্রেডভুক্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা ১০ গ্রেডভুক্ত জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। কিন্তু সেই আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেন ৬০ দিনের মধ্যে। সে নির্দেশনার প্রেক্ষিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৩ ও ১৫ তম গ্রেডভুক্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ১০ গ্রেডভুক্ত জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতির সুযোগ নেই বলে প্রার্থীদের জানায়। পরে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা ফের রিট দায়ের করলে আদালত নিয়োগ স্থগিত করে। পরে আপিল হলে আপিল বিভাগ থেকে সেই আদেশটি ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। সে সময়ের ৫ সপ্তাহ শেষ হয়ে গেলেও এখনও আমাদের নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা পিএসসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানিয়েছে তারা ফল প্রকাশে প্রস্তুত। কিন্তু তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছেন। তবে আইন মন্ত্রণালয় সে মত দেননি বলে জানিয়েছেন পিএসসি সংশ্লিষ্টরা। তাই আমরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না পাওয়া পর্যন্ত আমরা যাচ্ছি না। আমাদের জীবন থেকে তিনটি বছর কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

এর আগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে অবস্থান নিয়ে ফল প্রকাশের দাবি জানান প্রার্থীরা। 

এ বিষয়ে পিএসসির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, কোটা বদল হয়েছে। সে অনুসারে ফল দিতে সফটওয়্যার কমান্ড বদলাতে হবে। ৪৪ ক্যাটাগরির পদে একেকজন চার থেকে পাঁচ পদে ভাইভা দিয়েছেন। সবার তথ্য বিশ্লেষণের কাজ আছে। এগুলো করতে সময় লাগবে। আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানান তিনি।

এর আগে ১১ আগস্ট থেকে পিএসসির সামনে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর ফলপ্রত্যাশীরা। মৌখিক পরীক্ষায় ৭ হাজার ৪০০ প্রার্থী ৩ হাজার ৮৭ পদের বিপরীতে অংশ নেন।

 


সর্বশেষ সংবাদ