‘দেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষাকে ভিত্তি হিসেবে নিতে হবে’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষাকে ভিত্তি হিসেবে নিতে হবে। শিক্ষা হওয়া উচিৎ দক্ষতা নির্ভর। কারণ দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে শিক্ষা নিয়ে বেকারত্বের যন্ত্রণা মোকাবিলা করতে হবে। দক্ষতা- নির্ভর কারিগরি শিক্ষাই কেবল দেশকে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব থেকে মুক্ত করতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবন মিলনায়তনে ’চায়না টিভিইটি স্কলারশিপ-২০১৮’ এর আওতায় স্কলারশীপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে কারিগরি শিক্ষা অবহেলিত ছিল। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগ্রহ ছিল না। মাত্র ১% শিক্ষার্থী কারিগরি প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করত। সরকার কারিগরি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। এখন ভর্তি হার ১৪% এর অধিক। তিনি বলেন, এ শিক্ষার প্রসার, মান উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষককের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের মানোন্নয়নে প্রায় ২ হাজার শিক্ষককে সিঙ্গাপুরে নানিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও চীনের গুয়াংজুতে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, চীন সরকার বাংলাদেশের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। এ বছর ৪৭৪ জন শিক্ষার্থী চীনের বৃত্তি নিয়ে ৩-বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ও সমমানের কোর্সে অংশ নিবে। ২০১৭ সালে ’চায়না স্কলারমীপ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় ৩০৮ জন শিক্ষার্থী চীন গমন করে। এই প্রথম সংগঠিতভাবে বাছাই করে কারিগরি শিক্ষার্থীদের বৃহৎ সংখ্যায় বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা যুগোপযোগী করা হচ্ছে। শিল্প-মালিক ও বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী কারিকুলাম প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইন্ডস্ট্রি-ইনস্টিটিউশন লিংকেজসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারখানার মালিক ও উদ্যোক্তাদের আমরা সম্পৃক্ত করেছি। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে । আর এর মধ্যে অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস এবং ইনস্টিটিউট অব্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এ কে এম এ হামিদ।
পরে শিক্ষামন্ত্রী বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে চীনের ভিসাসহ পাসপোর্ট তুলে দেন।