যোগদানের দিন থেকে এমপিও কার্যকর চান কারিগরি শিক্ষকরা
চাকরিতে যোগদানের দিন থেকে এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তরা।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর জমা দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানান চাকরিপ্রার্থীরা। সেসিপ ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের আহবায়ক মো. রাশেদ মোশাররফ এই স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ প্রাপ্তরা যোগদানের পর বেতন নিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়বেন। কেননা। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া অনেক জটিল।
তারা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হলেও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া এখনো এনালগ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। যার কারণে শিক্ষকদের মাসের পর মাস এমপিভুক্তির অপেক্ষা করতে হয়। বেতন ছাড়া নিজ বাড়ি থেকে দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা কতটা কষ্টসাধ্য তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে। এই অবস্থায় যোগদানের দিন থেকে কারিগরি শিক্ষকদের বেতন কার্যকরের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ মোশাররফ জানান, ডিজিটাল যুগে এসেও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া এনালগ পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষকদের প্রায় ৩২ রকম কাগজ জমা দিতে হয়। সব কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার পরও নানা অজুহাতে আবেদন রিজেক্ট করা হয়। ফলে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন বেতন ছাড়াই চাকরি করেন। যা অত্যন্ত অমানবিক।
তিনি আরও বলেন, কারিগরি শিক্ষকদের দুর্ভোগ দূর করতে এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া অনলাইনে করতে হবে। এছাড়া যোগদানের দিন থেকেই যে এমপিও কার্যকর হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।