৩৪ মাস ধরে বেতনহীন পলিটেকনিকের শিক্ষকরা
সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক-সংকট নিরসনে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের (স্টেপ) অধীনে নিয়োগ পাওয়া ৭৭৭ জন শিক্ষক ৩৪ মাস ধরে বেতন না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশন এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (কারিগরি শাখা বাংলাদেশ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান শিক্ষক নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার সভাপতি মো. সুমন হায়দার বলেন, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার নিয়ে অর্থকষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছি। ৩৪ মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় এর মধ্যে কয়েকজন শিক্ষক চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। অনেকে মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজস্ব খাতে স্থানান্তরপ্রক্রিয়া ধীরগতির কারণে শিক্ষকরা এখন চরম হতাশ।
শিক্ষকদের পরিবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘদিনের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের অবসানের জন্য বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান ও চাকরি দ্রুত রাজস্ব খাতে আত্তীকরণের দাবি করা হয়। এ সময় দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণাও দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১০ সালে স্টেপ প্রকল্পের অধীনে শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য সায়লা আক্তার শর্মি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. মেহেদী হাসান প্রমুখ।