০৯ নভেম্বর ২০২২, ২৩:৪৯

এবার লেখক আনিসুল হককে হেয় করে এইচএসিতে প্রশ্ন

কারিগরি বোর্ডের প্রশ্ন ও লেখক আনিসুল হক  © টিডিসি ফটো

এবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির (বিএম) বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ওই প্রশ্নে লেখক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিককে আনিসুল হককে হেয় করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

গত রবিবার (৬ নভেম্বর) কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বাংলা-২-এর একটি সৃজনশীল প্রশ্নে (ক বিভাগের গদ্যাংশ) উদ্দীপকে লেখক আনিসুল হকের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘২১শে বইমেলায় তাড়াহুড়ো করে তিনি বই প্রকাশ করেন। পাঠকদের কাছে তার লেখা খাপছাড়া মনে হয়। ফলে পাঠকদের কাছে তিনি সমাদৃত হন না।’

কারিগরি বোর্ডের ওই প্রশ্নপত্রের ১ নম্বর প্রশ্নে সরাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণ করে উদ্দীপকে বলা হয়। এরপর প্রশ্ন করা হয়েছে- ‘(ক) ‘যশ’ শব্দের অর্থ কী? (খ) “লেখা ভালো হইলে সুনাম আপনি আসিবে।” উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। (গ) আনিসুল হক কোন কারণে ব্যর্থ, তা ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা কর। (ঘ) সাহিত্যের উন্নতিকল্পে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় লেখকের পরামর্শ বিশ্লেষণ কর।’

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্রে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এর মধ্যেই সামনে আসলো নতুন প্রশ্নপত্রের নতুন এ বিতর্ক।

আরও পড়ুন: দুই দশকে শিক্ষাব্যবস্থার ভয়াবহ সাম্প্রদায়িকীকরণ হয়েছে: ছাত্র ফ্রন্ট

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, এ মেসেজটা শোনার পর আমি প্রশ্নপত্রটি সংগ্রহ করেছি। কোন শিক্ষক এমন প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন, তাকে খুঁজে বের করতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দায়িত্বও দিয়েছি। কে এ প্রশ্নটি করেছেন, তাকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এটা সম্মানের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে সব বোর্ডে কেন এ ধরনের কাজ করছে, কী কারণে করছে তা জানা দরকার। এজন্য আমি খুবই দুঃখিত। প্রশ্ন আসলে বোর্ডের পক্ষে দেখা সম্ভব হয় না। শিক্ষক প্রশ্নপত্র প্রণয়নের পর মডারেটরা সেটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করেন। শিক্ষকরা শিক্ষিত মানুষ হয়ে অশিক্ষিত কাজ করছেন, এটি দুঃখজনক।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, পাণ্ডুলিপি বের করে এটার সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তিনি ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।