শিক্ষক সমাজই শেখ হাসিনার পতন ঘটাবে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষকরা সবচেয়ে বঞ্চিত। তাদের প্রতি অবহেলা ও চাকুরিচ্যুতি বেড়েছে। শিক্ষক সমাজই শেখ হাসিনার পতন ঘটাবে।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রিজভী।
অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, দেশ শাসনে বর্তমানে জনগণের কোনো ভূমিকা নেই। নাগরিকদের মতামতের কোনো মুল্য নেই। যারা মন্ত্রী-এমপি, তারাও আরেক গোষ্ঠির কাছে নতজানু-সেই গোষ্ঠির নাম পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, কলাবাগানে নির্দোষ মা-ছেলেকে তুলে নিয়ে আটকে রাখা হলো। অথচ তারা উদীচী করেন। উদীচীর বেশিরভাগ লোক নিরপেক্ষ অথবা সরকার সমর্থক। নিউমার্কেটে খুনের দায়ে ছাত্রলীগের ৬ জন চিহ্নিত হলো। বিভিন্ন সংবাদপত্রে তা প্রকাশিত হয়েছে। অথচ মামলা হলো বিএনপি নেতা মকবুলের নামে। পুলিশ আর র্যাবই শেখ হাসিনার ক্ষমতার উৎস। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।
ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসবেক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ডিআইজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির সহ-আইন সম্পাদক সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ হারুন, বাংলাদেশ অধ্যক্ষ সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান।
এছাড়াও ঐক্যজোটের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব মো. জাকির হোসেন।
এসময় অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়া বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরি জাতীয়করণের দাবিতে টানা চার মাসের আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করে বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে তারা রাজধানী ঢাকায় লাগাতার মহা অবস্থান ধর্মঘট দেবেন। শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে রাজধানী ঢাকা অচল করে দেবেন। চাকুরি জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।