২০ এপ্রিল ২০২২, ১৫:১৬

বক্তব্যটি অধ্যাপক রহমত উল্লাহর ব্যক্তিগত, ঢাবি শিক্ষক সমিতির নয়

  © ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মুজিবনগর দিবসের আলোচনায সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রদত্ত বক্তব্যকে করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি। আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহর এ বক্তব্য তার ব্যক্তিগত, শিক্ষক সমিতির নয়।

গত ১৭ এপ্রিল ওই আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও ‘শ্রদ্ধা’ জানান বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ ওই বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানালে ওই সভাতেই সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহর বক্তব্যের ওই অংশটি ‘এক্সপাঞ্জ’ করেন। পরের দিন ১৮ এপ্রিল দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ।

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) এক জরুরি সভায় বসে শিক্ষক সমিতি। সভায় তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায় এবং এই বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।

আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি বলছে, অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর এ বক্তব্য তার ব্যক্তিগত, শিক্ষক সমিতির নয়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর কাছে ব্যাখ্যা দাবি করে।

“এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার বক্তব্যে মুজিবনগর মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্যের নামের সাথে মোশতাকের নামও উল্লেখ করে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীপরিষদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। একই বক্তব্যে তিনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি তার ব্যক্তিগত ঘৃণা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলেও সভায় অবহিত করেন। তিনি মোশতাকের নাম উল্লেখ করায় সমিতির সভায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।”

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, জাতির ইতিহাসের চরম বিশ্বাসঘাতক, কুলাঙ্গার ও ষড়যন্ত্রকারী মোশতাকের নামে শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য ও অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘৃণিত ব্যক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার এবং জাতীয় চার নেতার খুনের সাথে সরাসরি জড়িত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং ঘৃণা প্রকাশ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে তার নাম উচ্চারণ করার কোনো অবকাশ নেই বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।