‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন’
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে মন্তব্য করে সেসব নিয়ে আরও আলোচনা দরকার বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য এম এ মতিন।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকালে উন্মুক্ত মঞ্চ, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার ও এডুকেশন একাডেমি আয়োজিত ‘শিক্ষায় মডেল রাষ্ট্রের সন্ধানে: প্রসঙ্গ দক্ষিণ কোরিয়া’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ মত দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতার বিভিন্ন দিক ও শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন সমস্যার কথা ওয়েবিনারে তুলে ধরেন বক্তারা।
এসব সমস্যা নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন মন্তব্য করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে বলে অনুষ্ঠানে সবাইকে আশ্বস্ত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ মতিন ।
বাংলাদেশে শিক্ষার বিকাশে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা, দর্শন ও ভাবনার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়েও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হত।”
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যাপক ওয়াসীম মো. মেজবাহুল হক। তিনি বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ার আজকে যে অগ্রগতি তার মূলে রয়েছে সে-দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। দক্ষিণ কোরিয়ায় সাধারণত কোনো ভর্তি পরীক্ষা নেই, শিক্ষকতা সেখানে একটি উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন পেশা”।
প্রবন্ধে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় যারা শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত, তাদের অন্তত ৮০ শতাংশের প্রথম পছন্দ শিক্ষকতা। সেখানকার সিভিল সার্ভিসে যোগ্যতার কোনো মানদণ্ড নেই, যে কেউ পরীক্ষার মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসের সদস্য হতে পারে, কিন্তু শিক্ষকতার জন্য অবশ্যই ন্যূনতম যোগ্যতা আবশ্যক।
দেশটিতে শিক্ষকেরাও সিভিল সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত। সেখানে শিক্ষা প্রশাসন স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে। প্রধানমন্ত্রীর নিচে দুটি উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ আছে। এই দুজন উপ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একজন শিক্ষা প্রশাসন দেখেন, অন্যজন অর্থনীতি। এ থেকেই বোঝা যায়, দক্ষিণ কোরিয়া শিক্ষাকে কতখানি গুরুত্ব দেয়।
ড. কাজী জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব অধ্যাপক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক একিউএম শফিউল আজম অংশ নেন।
ওয়েবিনারে র্যাপোর্টিয়ার ছিলেন ড. সুভাষ দেব ও রাজু আহমেদ। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত বিভিন্ন দপ্তর ও সরকারি কলেজের কর্মকর্তারা ছাড়াও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন।