ঢাবিতে হামলার ঘটনায় সাদা দলের বিবৃতি

ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমর্থন দিচ্ছে

  © টিডিসি ফটো

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্তৃক সংগঠিত একের পর হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা দিয়ে এসব ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। সরকারি দল আওয়ামী লীগের ভ্রতৃপ্রতীম সংগঠনটির ন্যাক্কারজন কর্মকাণ্ডে প্রশাসনের পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতি এ দাবি করে শিক্ষকদের সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় তিন সাংবাদিকসহ ২০ জনেরও বেশি আহত হয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট করে কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ কায়েম করা হয়েছে অভিযোগ তুলে এতে বলা হয়, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমর্থক ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের একক আধিপত্য বজায় রাখার অশুভ মানসিকতা নিয়েই প্রতিনিয়ত ভিন্নমতের রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছাত্রদের উপর হামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। সোমবার হামলা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরই বহিঃপ্রকাশ।

বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিশেষ ছাত্রসংগঠনের নয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, দল-মত নির্বিশেষে  সকল শিক্ষার্থী ও ছাত্রসংগঠনের নিরাপত্তা, তাদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না। এমনকি একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতি তারা এক ধরনের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক য়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমাদের কাছে তা প্রতীয়মান হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি পরিবেশ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
হামলায় জড়িত ও চিহ্নিতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিশ্ববিদ্যলয়ে সকল দল-মতের শিক্ষার্থী ও সংগঠন নির্বিঘ্নে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে জোর দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খানসহ অন্যান্যের মধ্যে স্বাক্ষর করেন, অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. দিলীপ কুমার বড়ূয়া, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. মো. আবদুর রব, ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মামুন আহমেদ, ড. মো. হাসানুজ্জামান খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. মো. নুরুল আমিন, ড. মো. গোলাম রব্বানী, ড. মো: আবদুর রশীদ, আহমেদ জামাল আনোয়র, ড. মো. জসিম উদ্দীন, ড. মো. মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ দাউদ খান, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, মো. আল আমিন, সাবরিনা শাহনাজ প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ