১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২

সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি

শিক্ষা মন্ত্রণালয়  © ফাইল ছবি

সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষকরা জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর আলোকে ১০ম গ্রেডে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, নীতিমালা অনুযায়ী ১০ম গ্রেড প্রাপ্য হলেও আবেদনগুলো অযৌক্তিকভাবে বাতিল করে ১১তম গ্রেডে পুনরায় আবেদন করতে বলা হচ্ছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং নীতিমালা বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ষষ্ঠ নিয়োগে সুপারিশ পাওয়া এসব শিক্ষক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরেও (মাউশি) স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তারা।

অভিযোগে শিক্ষকরা বলেন, সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে আগেও ১০ম গ্রেড ছিল। কিন্তু নতুন নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর অজানা কারণে তাদের ১১তম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে সেপ্টেম্বরে যোগদান করেছি, অথচ নীতিমালা জারি হয়েছে অক্টোবরের শেষে। তাহলে আমরা কেন নতুন নীতিমালার বাইরে থাকব?

তাদের দাবি, অনেক ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) এই বিভ্রান্তির কারণে এমপিও ফাইল রিজেক্ট করে ১১তম গ্রেডে আবেদন করতে বলছেন। এর ফলে বেশ কিছু এমপিও ফাইল এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে অনেক ফাইল স্থগিত হয়ে আছে বলে জানা গেছে।

শিক্ষকেরা আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর জারি হওয়া এমপিও পরিপত্র কার্যকর হওয়ার পর নীতিমালায় নির্ধারিত গ্রেড অনুযায়ী এমপিওভুক্তির কথা থাকলেও মাঠপর্যায়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দেখা দিচ্ছে। এর ফলে নতুন এমপিও প্রত্যাশীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

তারা শিক্ষা সচিবের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নীতিমালায় নির্ধারিত ১০ম গ্রেডে এমপিও না পেলে আমরা ন্যায্য প্রাপ্য বেতন-ভাতা ও সম্মান থেকে বঞ্চিত হব। তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত দিয়ে এ জটিলতা নিরসন করা প্রয়োজন।