‘জুলাইকে কেন্দ্র করেই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে হবে, কোন কমপ্রোমাইজ হবে না’
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবির নেতা ড. মির্জা গালিব বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করেই আমাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে হবে। এইখানে কোন কমপ্রোমাইজ হবে না। আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোর) সকাল সাড়ে নয়টার পরে নিজে ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘এক, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আমাদের লাগবেই। এইটা না হইলে আমরা ফেরত যাব হাসিনার আমলের সিস্টেমে। এই সিস্টেমে হাসিনা এসে আবার দাবি করতে পারবে যে, সে নিজে অবৈধ ছিল না; বরং তার বিপক্ষে যে আন্দোলন হয়েছে, সেই আন্দোলনই অবৈধ ছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শিক্ষকদের বেতন এশিয়ায় সর্বনিম্ন: প্রতিবেশী দেশগুলোয় তিন গুণ বেশি
দুই, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কোন একটা রাজনৈতিক দলের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয়া যাবে না। এইটা জনগণের সামষ্টিক ইচ্ছার প্রতিফলন হতে হবে। গণভোট হল একমাত্র পদ্ধতি যার মাধ্যমে এই সামষ্টিক ইচ্ছার প্রতিফলন তৈরি করা যাবে। কাজেই গণভোট হতে হবে এবং এই গণভোটের রায় পরের সংসদের উপর বাইন্ডিং হতে হবে। পরের সংসদকে এই জনরায় বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকতে হবে।
তিন, এই গণভোট ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে হবে, না একসাথে হবে - এইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন না। বিএনপি যদি জাতীয় নির্বাচনের সাথে এইটা একসাথে করতে চায় - অন্যদের এইটা মেনে নিতে খুব আপত্তি করা উচিত না। মূল প্রশ্ন হল, গণভোটের মধ্য দিয়ে সনদকে আইনি বাধ্যবাধকতায় নিয়ে যাওয়া।
চার, সনদের মধ্যে যে সকল বিষয়ে সকল দল একমত হয়েছে, সেগুলো একটা প্যাকেজ; আর যে সকল বিষয়ে কিছু দলের দ্বিমত/ডিসেন্ট আছে - সেইগুলো আলাদা একটা প্যাকেজ হওয়া উচিত। এই দুইটা প্যাকেজ গণভোটে যাওয়া উচিত। দুইটা আলাদা আলাদা প্রশ্ন থাকবে। জনগণ দুইটাতে আলাদা আলাদা ইয়েস/নো ভোট দেবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যেইটাতে এগ্রি করবে, সেইটাই আমাদের সামষ্টিক চয়েজ।’