২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:০৮

লটারি নয়, লিখিত ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহালের দাবি সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির

শিক্ষার্থী ও সরকারি লোগো  © ফাইল ছবি

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় লটারির পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস)। সংগঠনটি বলছে, লটারিভিত্তিক ভর্তি পদ্ধতি শিক্ষার মান ধ্বংস করছে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলছে।

রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ দাবি জানায় বাসমাশিস। সংগঠনের আহ্বায়ক এ. কে. এম. আজাদ ও সদস্য সচিব মো. আব্দুল মুবীন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে চালু করা “শিক্ষা বিধ্বংসী” লটারি পদ্ধতি ২০২৬ সালেও বহাল থাকবে—এমন খবর প্রকাশের পর বিভিন্ন জেলায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন ধ্বংসের ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতিই মূলত দায়ী। এতে যোগ্যতা, পরিশ্রম ও প্রতিযোগিতার মনোভাব ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।”

বাসমাশিস মনে করে, শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে ভর্তি পরীক্ষাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সংগঠনটি সতর্ক করে বলেছে, লটারি পদ্ধতি বহাল থাকলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বাড়বে, যা ভবিষ্যতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।

চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২৬ সালের ভর্তি কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, “শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও অভিভাবকদের উদ্বেগ দূরীকরণে লটারি পদ্ধতি বাতিল করে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহাল করা জরুরি।”

চিঠির অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছেও প্রেরণ করা হয়েছে।