২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৩১

চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা নিয়ে যা জানাল মন্ত্রণালয়

শিক্ষকদের আন্দোলন  © টিডিসি ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা আপাতত বাড়ছে না। তবে আগামী বাজেটে এটি বৃদ্ধির চেষ্টা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজকের সভায় কেবল বাড়ি ভাড়া আগামী এক নভেম্বর থেকে সাড়ে সাত শতাংশ এবং ২০২৬ সালের জুলাই থেকে সাড়ে সাত শতাংশ করা হবে। অর্থাৎ শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।

চিকিৎসা ও উৎসব ভাতার দাবি পূরণ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা আপাতত বাড়ছে না। সরকারের আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় আগামী বাজেটে এই দুটি ভাতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে।

এদিকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া দুই ধাপে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোস. শরিফুন্নেসা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্মতিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা নিম্নোক্ত শর্তাদি পরিপালন সাপেক্ষে ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ হতে মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) এবং ১ জুলাই ২০২৬ তারিখ হতে উক্ত ৭.৫ শতাংশের অতিরিক্ত আরও ৭.৫ শতাংশ অর্থাৎ মূল বেতনের সর্বমোট ১৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) নির্ধারণ করা হলো।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর থেকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাব ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান, সচিবালয় অভিমুখে মিছিল এবং শাহবাগ মোড় অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ।