১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩২

কালো পতাকা মিছিল শেষে শহীদ মিনারে ফিরলেন শিক্ষকরা

তিন দফা দাবিতে শিক্ষকদের কালো পতাকা মিছিল  © টিডিসি

বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে কালো পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ মিছিল শুরু হয়।  

মিছিল জাতীয় ঈদগাহ এলাকার কদম ফোয়ারায় শেষ করে সেখানে একটি সমাবেশ আয়োজিত হয়। সমাবেশ শেষ করে অবশেষে তারা শহীদ মিনারে ফিরে গিয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শহীদ মিনারে চলমান তাদের অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন তারা। 

এদিকে, আজ কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করার এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন চলমান  শিক্ষক ও কর্মচারীদের আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। তিনি এক বার্তায় কর্মসূচির পরিকল্পনার বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের কালো পতাকা মিছিলটি শিক্ষা ভবন হয়ে কদম ফোয়ারায় গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আবার শহীদ মিনারে ফিরে আসবে।’

এর আগে দেলোয়ার হোসেন আজিজী ফেসবুকে লেখেন, ‘সবাই কালো পতাকা নিয়ে আসুন। ১২টা সময় কালো পতাকা মিছিলের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্রের অবহেলার প্রতিবাদ জানানো হবে। সবাই চলে আসুন।’

শনিবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারের মূল বেদীসহ আশপাশে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। আশপাশেও অবস্থান নিয়ে আছেন অনেকে। পাশাপাশি অনেককে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে শহীদ মিনারে আসতে দেখা যায়।

বেতনভাতা বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন শুরু করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয় এ অনশন কর্মসূচি। এর আগে ‘যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা’ স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।

গত ৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলে তা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ১৩ অক্টোবর প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। সেই থেকেই শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৫ অক্টোবর শিক্ষকরা শাহবাগ মোড় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করে রাখেন। পূর্ব ঘোষণানুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা’ করার কথা থাকলেও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সেটি স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা।