৩০ আগস্ট ২০২৫, ১৫:২৫

‘শূন্য পদে বদলি নীতিমালা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে’

সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শূন্য পদে বদলি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. সরোয়ার। শনিবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্য প্রভাষক মো. সরোয়ার বলেন, ‘গভীর উদ্যোগের সাথে জানাতে হচ্ছে যে শূন্য বদলি নীতিমালা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তাই  নীতিমালা অনুসারে সেপ্টেম্বর মাসে শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করা এবং ১২. ২ ধারা অনুসারে যথাসময়ে বদলি কার্যকর করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এই নীতিমালা সংশোধন প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৩.১৬ ধারা  সংশোধন করে ১ জন শিক্ষক এর  পরিবর্তে কমপক্ষে ২ জন শিক্ষক বদলি কার্যকর করা দরকার। একই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সমপদ/সমস্কেলে বদলি  কার্যকর করা অথবা ইনডেক্স টান্সফারিং এর মাধ্যমে এক অধিদপ্তর থেকে অন্য অধিদপ্তরে সমপদ/ সমস্কেলে  বদলি কার্যকর করতে হবে এবং নারী শিক্ষকদের স্বামীর কর্মস্থল এবং স্বামী স্ত্রীর কর্মস্থলে বদলি কার্যকর করতে হবে।’

প্রভাষক সরোয়ার বলেন, সম্প্রতি “দৈনিক যুগান্তর”, 'দৈনিক সৈকত সংবাদ’ এবং দেশ টিভিতে "ভূয়া সমন্বয়ক সেজে কোটি কোটি টাকার মালিক বরগুনার সরোয়ার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। প্রকাশিত সংবাদের সাথে আমার কর্ম জীবনের কোন সম্পর্ক নেই। আমি এনটিআরসি’র মাধ্যমে ২০২২ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত একজন ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক। আমার কর্ম জীবনের সততা ও সফলতায় ঈর্ষান্নীত হয়ে আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপ সাংবাদিকদের মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে সহায়তা করেছে। 

প্রকাশিত সংবাদে আমাকে বলা হয়েছে সমন্বয়ক, এনসিপি’র নেতা, বদলির তদবির কারক, ঠিকাদার ইত্যাদি। আসলে এর কোনটার সাথেই আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। তবে আমি অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ দিন দ্বায়ীত্ব পালন করে আসছি। উক্ত ব্যানারে গণঅভ্যুত্থানের সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি, প্রতিটি সভা সমাবেশে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। বরগুনা এলজিইডির কোন কর্মকর্তাকে আমি চিনিনা। আমি এক জন শিক্ষক হিসেবে কাউকে বদলী করার ক্ষমতা রাখিনা। এ বিষয়ে আমি কিছুই অবহিত নই। যেহেতু এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য বিভাগসহ কোন বিভাগেই আমার নামে বেনামে কোন লাইসেন্স নেই। ঠিকাদারি কাজের ব্যাপারে আমার কোন অভিজ্ঞতাই নেই। অতএব ঠিকাদারি কাজ করার প্রশ্নই ওঠে না। আমাকে বলা হয়েছে আমি অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক। শিক্ষকতা পেশায় সৎপথে বৈধ বেতন এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ ছাড়া আমার কোন অবৈধ সম্পদ নেই। আমার বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবী। যিনি বহু বছর আগে বাড়ীতে বিল্ডিং করেছে যা এখন পুরাতন, অথচ সংবাদে বলা হয়েছে, আমাদের টিনের ঘর ছিল এক বছর আগেও, এখন নাকি বিল্ডিং করছি। বিষয়টি হাস্যকর। ২০২২ সালে বরগুনার চান্দখালীতে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করা কালীন আমার স্থানীয় প্রতিপক্ষ মহল ষড়যন্ত্র মুলক আমাকে একটি মিথ্যা মামলায় আসামী করে হয়রানী করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে উক্ত মামলা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। সেই মিথ্যা মামলার রেফারেন্স দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য মুলক ভাবে প্রকাশিত সংবাদের আমি জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকতার মান রক্ষা করে সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করার এবং মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমগুলোর প্রতি অনুরোধ করছি।কোন পত্রিকা একজন শিক্ষক নেতাকে কখনো তথ্য যাচাই না করে, কারো প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে ভুয়া সমন্বয়ক বলতে পারেনা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করা ও স্বাভাবিক কাজকর্মকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটা গ্রুপ সভাপতি মহোদয়কে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন অপকৌশল বেছে নিয়েছেন। একজন শিক্ষক হিসেবে এটা কখনোই কাম্য নয়।