জাতীয়করণ আন্দোলন: ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে ডাকা সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা পৌঁছেছেন। আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
জানতে চাইলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই ইতোমধ্যে ঢাকা চলে এসেছেন। অনেকেই বাসে অবস্থান করছেন। আগামীকাল বেসরকারি শিক্ষকরা নতুন ইতিহাস তৈরি করবেন।’
আন্দোলনের সমন্বয়করা জানিয়েছেন, জাতীয়করণের দাবি আদায়ের সমাবেশ সফল করতে প্রতিটি বিভাগে আটজন করে সমন্বয়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় সমন্বয়করা জেলা এবং জেলার সমন্বয়করা উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয়ক ঠিক করে দিচ্ছেন। সমাবেশে শিক্ষকদের নির্বিঘ্নে আসা এবং বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে আগেভাগেই বাস রিজার্ভ করে রাখা হচ্ছে। কোনো কোনো উপজেলা থেকে একাধিক বাস রিজার্ভ করে রাখা হচ্ছে। সমাবেশে আসা শিক্ষকদের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩০০ সেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ২০ দিন অবস্থান ও অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের জন্য ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়। সে সময় সরকার শিক্ষা জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতিও দেয়, কিন্তু পরবর্তীকালে তা বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার পতনের পর অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও পরবর্তী বাজেটে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেন তিনি। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সুস্পস্ট ঘোষণা সত্ত্বেও ২০২৫-২৬ অর্থ বছর শুরু হলেও সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতার প্রজ্ঞাপন এখনও জারি করা হয়নি।
এ অবস্থায় দাবি আদায়ে আবারও রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। ১৩ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে দাবি আদায়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে সমাবেশ থেকে।