১৩ জুলাই ২০২৫, ২১:৫৩

বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান-কটূক্তির প্রতিবাদ ইউট্যাবের

তারেক রহমান এবং বিএনপি ও ইউট্যাব লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

সম্প্রতি বিএনপি ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন ভাষায় কটূক্তি ও স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। আজ রবিবার (১৩ জুলাই) ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

‘‘সম্প্রতি দেশে পৈশাচিক কায়দায় হত্যার ঘটনা মানুষকে ব্যথিত করেছে। বিশেষ করে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় একজন ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পাথর দিয়ে হত্যার ঘটনা নিন্দনীয়। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও তারেক রহমানের নামে অশালীন ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়েছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।’’

নেতৃদ্বয় বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সন্ত্রাস দমনের দায়িত্ব সরকারের। তবুও মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দলীয় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইতিমধ্যে বিএনপির তিনটি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন থেকে ৫ জনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এরপরও বিএনপিকে জড়িয়ে ও এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়াটা দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, এ কথা অনস্বীকার্য যে চব্বিশের জুলাই-আগস্টের রক্তঝরা দিনগুলোতে ছাত্রনজতার আন্দোলনে সার্বিকভাবে পাশে ছিল বিএনপি এবং তারেক রহমান। শুধু বক্তব্য দিয়ে নয়, বরং অসংখ্য নেতাকর্মী মাঠে সশরীরে অংশগ্রহণ করে আন্দোলনকে উজ্জীবিত রেখেছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরাই নিজেদের জীবন, ক্যারিয়ার, পরিবার, ব্যবসাসহ জীবন ও সম্পদকে বিপন্ন করে এক বর্বর ফ্যাসিস্ট একনায়কের বিরুদ্ধে মাঠের প্রতিরোধটুকু জারি রেখেছিল। তারা গুম, খুন, অপহরণসহ নানামাত্রিক বর্বরতার নির্মম শিকার হয়েও কখনও মাঠ ছেড়ে যায়নি। শুধু তাই নয়, যখন জাতি ছিল হতাশায় নিমজ্জিত ও দিশাহারা, তখন দূর প্রবাসে থেকেও আশার আলো দেখিয়েছেন তারেক রহমান। তার কণ্ঠে আমরা শুনেছি স্বাধীনতা এবং ঐক্যের ডাক। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি তার নেতৃত্বকে প্রমাণিত করেছেন। শুধু তাই নয়, অভ্যুত্থানের আগে ও পরে তারেক রহমানের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও ভাষণ দেশবাসীকে শক্তি জুগিয়েছে। বিশেষ করে ৫ আগস্ট পরবর্তীতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দ্রুততার সঙ্গে তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। তারেক রহমানের প্রতি গণমানুষ এবং তরুণ প্রজন্মের অগাধ আস্থা রয়েছে। তার নেতৃত্বে দেশবাসী একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন-যেখানে থাকবে না অন্যায়-দুঃশাসন থাকবে শুধু ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। 

তারা আরও বলেন, একটি কুচক্রী মহল বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচার এমন সময়ে শুরু হয়েছে যখন একটি জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে যে, এদেশের তরুণেরা বহু লড়াই-সংগ্রামে পরীক্ষিত বাংলাদেশপন্থী শক্তি বিএনপিতেই তাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখে। আগামীতে বিএনপিকেই এদেশের অধিকাংশ তরুণ ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাছাড়া কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেলেই চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। গত প্রায় এক বছরে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কি তাদের বিষয়ে যথাযথ আইনি বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে? না নিয়ে থাকলে কেনো নেয়নি? অতএব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায় সরকার এড়াতে পারেনা। এমন অবস্থায় আমরা দেশের জনগণ ও তরুণ সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাবো কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক তথ্য জেনে কথা বলার জন্য । তরুণরা আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিত হবে। তারা বিভ্রান্ত হলে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।