শিক্ষামন্ত্রী নাহিদকে জয়ী করতে একাট্টা নেতাকর্মীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:২২ PM , আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:২২ PM
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে জয়ী করতে একাট্টা হয়েছেন গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর টানা প্রায় ১০ বছর সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন নাহিদ। এখন দিনভর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন ভোটারদের কাছে এমন বার্তা দিয়ে আরেকবার দেশের সেবা করার সুযোগ চাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ আসনটি ধরে রাখতে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই গণসংযোগ করছেন এবং তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এলাকাবাসী বলছেন, শিক্ষামন্ত্রী নিজ এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, এমপিওভুক্তি, জাতীয়করণ ছাড়াও নান্দনিক প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণ করেছেন। দু’টি উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ নাগরিক সুবিধাসমৃদ্ধ সিলেট-৬ গড়তে নিরলস কাজ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ। এলাকার উন্নয়নে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদকে এমপি হিসেবে দরকার। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদিন নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে আবারো দেশ পরিচালনা ভার দিতে হবে।
একটি সূত্র জানায়, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ আসনে ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা হাবিবুর রহমানকে হারিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর থেকেই এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার এসেছে এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদের হাত ধরে। নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের একসূত্রে এনেছেন।
এবার ডজনখানেক প্রার্থীকে পেছনে ফেলে নৌকার মাঝি হয়েছেন। কিন্তু ঝামেলা বাঁধায় জোটের হিসাব। সেই জোটপ্রার্থী বিএনপি থেকে অবসর নেয়া শমশের মবিন চৌধুরীও নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে আল্লামা হুছামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলির নেতৃত্বাধীন আল ইসলাহ সমর্থন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীকে।
সূত্রের তথ্য, গোলাপগ-বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির বিরাট ভোট ব্যাংক আছে এই এলাকায়। জামায়াত ইস্যুতে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফয়সাল আহমদ চৌধুরী আছেন বেকায়দায়। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাহিদকে সমর্থন দিয়েছে। তাই ভোটের সব হিসাব-নিকাশে এই আসনে এগিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে দলের সবাইকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এমনটাই সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেনের ভূমিকা নাহিদের বিপক্ষে যেতে পারে এমনটাই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অভিযোগ আছে, নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করছে সরোয়ার হোসেন। এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারও করছেন তিনি।